স্বামীর পরকীয়ায় স্ত্রীর আত্মহত্যা নাকি হত্যা!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:০৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গায় স্বামীর পরকীয়ার কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ২ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে আলমডাঙ্গার অনুপনগরের নওদাপাড়ার গ্রামের রতনের স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর মা স্বপ্না খাতুন (৩২) নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের দাবি, পারিবারিক গোলোযোগের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ‘তবে নিহত শরীরে আঘাতে চিহ্ন ও কান ও চোখ দিয়ে রক্ত ঝরার আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানা হেফাজতে রাখে’। আজ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে হত্যা না কি আত্মহত্যা তার আসল রহস্যের উন্মোচন ঘটবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুনগর গ্রামের নওদাপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে রতনের সাথে বড় গাংনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে স্বপ্নার সাথে দীর্ঘ একযুগ পূর্বে বিবাহ হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের দু’টি সন্তান থাকলেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে রতন। ফোনে অনেক সময় ধরে কথা বলা এবং গভীর রাতে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। রতনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ তুলে কথা বললে স্বপ্নার উপরে সে নির্যাতন চালায়। এরই সূত্র ধরে গত ৩ দিন পূর্বে পারিবারিকভাবে গোলোযোগের কারণেই স্বপ্ন গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ তোলে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহে সময় নিহত স্বপ্নার চোখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরার চিহ্ন পায় এবং তার শরীরে আঘাতে দাগ দেখে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়ার চেষ্টা চালালে তোপের মুখে পড়ে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদের নির্দেশে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে থানা হেফাজতে রাখে। আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) আসাদুজ্জামাদ আসাদ জানান, নিহত স্বপ্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তার চোখে-কানে রক্ত ঝরায় অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। তারপরেই জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বামীর পরকীয়ায় স্ত্রীর আত্মহত্যা নাকি হত্যা!

আপডেট সময় : ১২:৫৫:০৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গায় স্বামীর পরকীয়ার কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ২ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে আলমডাঙ্গার অনুপনগরের নওদাপাড়ার গ্রামের রতনের স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর মা স্বপ্না খাতুন (৩২) নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের দাবি, পারিবারিক গোলোযোগের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ‘তবে নিহত শরীরে আঘাতে চিহ্ন ও কান ও চোখ দিয়ে রক্ত ঝরার আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানা হেফাজতে রাখে’। আজ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে হত্যা না কি আত্মহত্যা তার আসল রহস্যের উন্মোচন ঘটবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুনগর গ্রামের নওদাপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে রতনের সাথে বড় গাংনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে স্বপ্নার সাথে দীর্ঘ একযুগ পূর্বে বিবাহ হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের দু’টি সন্তান থাকলেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে রতন। ফোনে অনেক সময় ধরে কথা বলা এবং গভীর রাতে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। রতনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ তুলে কথা বললে স্বপ্নার উপরে সে নির্যাতন চালায়। এরই সূত্র ধরে গত ৩ দিন পূর্বে পারিবারিকভাবে গোলোযোগের কারণেই স্বপ্ন গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ তোলে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহে সময় নিহত স্বপ্নার চোখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরার চিহ্ন পায় এবং তার শরীরে আঘাতে দাগ দেখে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়ার চেষ্টা চালালে তোপের মুখে পড়ে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদের নির্দেশে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে থানা হেফাজতে রাখে। আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) আসাদুজ্জামাদ আসাদ জানান, নিহত স্বপ্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তার চোখে-কানে রক্ত ঝরায় অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। তারপরেই জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।