নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই মামলার চার্জশিট অতি দ্রুতই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আইসিটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া বলেন, “আরাফাত সানি ও নাসরিন দুইজনের মোবাইলই জব্দ করা হয়েছে।
সানি নাসরিনকে ফেসবুকে ছবি পাঠিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাদের মোবাই জব্দ করা হয়। মোবাইলগুলো সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক টেস্টের জন্য। তবে এখনও সিআইডি থেকে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সিআইডি রিপোর্ট পেলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। “এরপর আরও দুইটি মামলা দায়ের করা প্রসঙ্গে এই তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আদালতে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেই দুইটি মামলার সব কাগজপত্র আমাদের হাতে আসেনি। তাই আপাতত আইসিটি মামলাটিরই তদন্ত করা হচ্ছে। আর রিমান্ডে সানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা যাচাই বাছাই করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না। ”
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে গত ২৩ জানুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে ঢাকা সিএমএম আদালতে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানির ও তার মায়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করা হয়। ঢাকা ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে সর্বপ্রথম গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় আইসিটি আইনে দায়ের করা মামলায় ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সানির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৪ জানুয়ারি তাকে আবার আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ মামলার এজাহারে নাসরিন অভিযোগ করেন, আরাফাত সানির সঙ্গে তার ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও তার কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে হুমকি দেন তাকে।