রবিবার | ৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে সিরাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিউর, সাধারণ সম্পাদক সোহেল Logo ইবিতে ই-পেমেন্ট চালুতে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি Logo শেরপুর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা Logo চাঁদপুরে প্রাইভেট মাদ্রাসা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo ওয়াপদা প্রকল্পে হুমকিতে বসতভিটা, জোড়শিংয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগ Logo ঝিনাইদহে মহা ধুম ধামে উৎযাপন হয়েছে বিশিষ্ট সংগঠন মানব কল্যাণ সংঘের ৪র্থ বর্ষ, আমজনতার অভিনন্দন প্রদাণ Logo সিরাজগঞ্জে ভোটার আইডিতে পিতার নাম পরিবর্তন করে জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হল তিন দিনব্যাপী ‘স্পিনার্স ফিয়েস্তা ৩.০ Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে Logo হেলেঞ্চা শাক: প্রকৃতির অমূল্য ঔষধি সম্পদ

মারাত্মক ১০ রোগ থেকে মুক্তি পেতে খান চিংড়ি

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ক্যানসার প্রতিরোধ : চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইনস্টিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকগণের মতে, এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়ি মাছের সেলেনিয়ামের সাথে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

শারীরিক দুর্বলতা কাটায় : অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

হাড়ের ক্ষয় রোধ করে : চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে : আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা দেয়।

বিষণ্ণতা দূর করে : মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে, এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

মূত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে : গবেষণায় দেখা যায়, জিংক মূত্রথলি-সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মূত্রথলির ক্যানসারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মূত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।

থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে : চিংড়ি মাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে : চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায়, ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ত্বক, চুল নখের সুরক্ষা করে : চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামি ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে সিরাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিউর, সাধারণ সম্পাদক সোহেল

মারাত্মক ১০ রোগ থেকে মুক্তি পেতে খান চিংড়ি

আপডেট সময় : ০৩:১২:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ক্যানসার প্রতিরোধ : চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইনস্টিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকগণের মতে, এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়ি মাছের সেলেনিয়ামের সাথে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

শারীরিক দুর্বলতা কাটায় : অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

হাড়ের ক্ষয় রোধ করে : চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে : আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা দেয়।

বিষণ্ণতা দূর করে : মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে, এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

মূত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে : গবেষণায় দেখা যায়, জিংক মূত্রথলি-সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মূত্রথলির ক্যানসারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মূত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।

থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে : চিংড়ি মাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে : চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায়, ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ত্বক, চুল নখের সুরক্ষা করে : চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামি ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।