শিরোনাম :
Logo মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে কোপাল ছেলে Logo সাতক্ষীরা কলারোয়ায় সাবেক যুবদল নেতার আগ্রাসনে বিধবা নারীর বসতবাড়ি ভাঙচুর Logo চাঁদপুর পুরান বাজারে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধের আহ্বান ঢাকার! Logo ইবিতে প্রথম ট্যুরিস্ট ক্লাব নির্বাচন; নেতৃত্বে রিফাত ও ফেরদৌস Logo এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড ও আলাদা অধিদপ্তর গঠনের দাবিতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের আলোচনা সভা Logo চাঁদপুরে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ” পরীক্ষা Logo বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের  ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে Logo পলাশবাড়ীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

আলমডাঙ্গা ডাউকীর প্রবাসীকে অপহরণ : ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

অপহৃত মিজানের গলায় লোহার শেকল : ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামের অপহৃত হওয়া ১ মাস পর প্রবাসী মিজানুরকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিজানুরকে ঢাকা থেকে অপহরণ করিয়ে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয়। একটি ঘরে গলায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা মিজানুরের একটি ছবি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে বলেশ্বরপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী রনি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০) প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে মালয়েশিয়া গমন করে। মালয়েশিয়া থেকে গত ১ মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত ৯ আগস্ট আবার তার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেজন্য গত ৬ আগস্ট মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ঢাকায় যায়। পরদিন মালয়েশিয়া থেকে তার পূর্বপরিচিত বলেশ্বরপুরের উজির আলীর ছেলে রনি তাকে মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে জানতে চান কোথায় মিজানুর? মিজানুরের অবস্থান জেনে ওই দিনই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাড়িতে। সেখানে গলায় লোহার শেকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। শেকলবন্দী মিজানুরের ছবি রনি পাঠিয়ে দেয় মিজানুরের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে। দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা। দাবিকৃত টাকা রনির পিতা উজির আলীর নিকট না দিলে মিজানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। মিজানুর রহমানের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ স্ত্রী গত ৯ আগস্ট আলমডাঙ্গা ছুটে গিয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রনির পিতা উজির আলী, স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও মা সাবিনা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। রনিকে জানানো হয় যে, অপহৃত মিজানকে মুক্তি না দিলে তার স্ত্রী, মা-বাপকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। বিপাকে পড়ে রনি মিজানকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। তার কথা মত মিজানকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে বলেশ্বরপুরের মেম্বর সাইফুল ইসলাম ও রনির ছোট ভাই টনি গত ১০ আগস্ট যায় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকা থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের হাতে তুলে না দিয়ে যেতে বলেন ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ পৌঁছে তারা রনির নির্দেশনা মত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গতকাল ১১ আগস্ট মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত করা হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে কোপাল ছেলে

আলমডাঙ্গা ডাউকীর প্রবাসীকে অপহরণ : ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ আগস্ট ২০১৮

অপহৃত মিজানের গলায় লোহার শেকল : ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামের অপহৃত হওয়া ১ মাস পর প্রবাসী মিজানুরকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিজানুরকে ঢাকা থেকে অপহরণ করিয়ে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয়। একটি ঘরে গলায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা মিজানুরের একটি ছবি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে বলেশ্বরপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী রনি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০) প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে মালয়েশিয়া গমন করে। মালয়েশিয়া থেকে গত ১ মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত ৯ আগস্ট আবার তার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেজন্য গত ৬ আগস্ট মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ঢাকায় যায়। পরদিন মালয়েশিয়া থেকে তার পূর্বপরিচিত বলেশ্বরপুরের উজির আলীর ছেলে রনি তাকে মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে জানতে চান কোথায় মিজানুর? মিজানুরের অবস্থান জেনে ওই দিনই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাড়িতে। সেখানে গলায় লোহার শেকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। শেকলবন্দী মিজানুরের ছবি রনি পাঠিয়ে দেয় মিজানুরের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে। দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা। দাবিকৃত টাকা রনির পিতা উজির আলীর নিকট না দিলে মিজানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। মিজানুর রহমানের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ স্ত্রী গত ৯ আগস্ট আলমডাঙ্গা ছুটে গিয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রনির পিতা উজির আলী, স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও মা সাবিনা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। রনিকে জানানো হয় যে, অপহৃত মিজানকে মুক্তি না দিলে তার স্ত্রী, মা-বাপকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। বিপাকে পড়ে রনি মিজানকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। তার কথা মত মিজানকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে বলেশ্বরপুরের মেম্বর সাইফুল ইসলাম ও রনির ছোট ভাই টনি গত ১০ আগস্ট যায় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকা থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের হাতে তুলে না দিয়ে যেতে বলেন ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ পৌঁছে তারা রনির নির্দেশনা মত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গতকাল ১১ আগস্ট মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত করা হতে পারে।