শিরোনাম :
Logo শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কী শুধু শোক প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ! Logo রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে ‌‘ঢাকার আসনে বিএনপির মনোনয়নের’ ভুয়া বিজ্ঞপ্তি Logo হোয়াইট হাউজে আকস্মিক ‘নিরাপত্তা’ বৈঠক ডাকলেন ট্রাম্প Logo ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ‍স্পষ্ট করলো ওমান Logo হাসিনা-কামালকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি Logo জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ Logo বঙ্গোপসাগরে বজ্রমেঘ, চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত Logo ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছেই, ইসরায়েলে সাইরেন Logo ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠক আজ Logo ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছে ২১ মুসলিম দেশ

আলমডাঙ্গা ডাউকীর প্রবাসীকে অপহরণ : ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

অপহৃত মিজানের গলায় লোহার শেকল : ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামের অপহৃত হওয়া ১ মাস পর প্রবাসী মিজানুরকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিজানুরকে ঢাকা থেকে অপহরণ করিয়ে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয়। একটি ঘরে গলায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা মিজানুরের একটি ছবি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে বলেশ্বরপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী রনি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০) প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে মালয়েশিয়া গমন করে। মালয়েশিয়া থেকে গত ১ মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত ৯ আগস্ট আবার তার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেজন্য গত ৬ আগস্ট মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ঢাকায় যায়। পরদিন মালয়েশিয়া থেকে তার পূর্বপরিচিত বলেশ্বরপুরের উজির আলীর ছেলে রনি তাকে মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে জানতে চান কোথায় মিজানুর? মিজানুরের অবস্থান জেনে ওই দিনই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাড়িতে। সেখানে গলায় লোহার শেকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। শেকলবন্দী মিজানুরের ছবি রনি পাঠিয়ে দেয় মিজানুরের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে। দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা। দাবিকৃত টাকা রনির পিতা উজির আলীর নিকট না দিলে মিজানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। মিজানুর রহমানের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ স্ত্রী গত ৯ আগস্ট আলমডাঙ্গা ছুটে গিয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রনির পিতা উজির আলী, স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও মা সাবিনা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। রনিকে জানানো হয় যে, অপহৃত মিজানকে মুক্তি না দিলে তার স্ত্রী, মা-বাপকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। বিপাকে পড়ে রনি মিজানকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। তার কথা মত মিজানকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে বলেশ্বরপুরের মেম্বর সাইফুল ইসলাম ও রনির ছোট ভাই টনি গত ১০ আগস্ট যায় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকা থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের হাতে তুলে না দিয়ে যেতে বলেন ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ পৌঁছে তারা রনির নির্দেশনা মত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গতকাল ১১ আগস্ট মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত করা হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কী শুধু শোক প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ!

আলমডাঙ্গা ডাউকীর প্রবাসীকে অপহরণ : ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ আগস্ট ২০১৮

অপহৃত মিজানের গলায় লোহার শেকল : ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামের অপহৃত হওয়া ১ মাস পর প্রবাসী মিজানুরকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিজানুরকে ঢাকা থেকে অপহরণ করিয়ে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখা হয়। একটি ঘরে গলায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা মিজানুরের একটি ছবি তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে বলেশ্বরপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী রনি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০) প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে মালয়েশিয়া গমন করে। মালয়েশিয়া থেকে গত ১ মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত ৯ আগস্ট আবার তার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেজন্য গত ৬ আগস্ট মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ঢাকায় যায়। পরদিন মালয়েশিয়া থেকে তার পূর্বপরিচিত বলেশ্বরপুরের উজির আলীর ছেলে রনি তাকে মোবাইল ফোনে রিং দিয়ে জানতে চান কোথায় মিজানুর? মিজানুরের অবস্থান জেনে ওই দিনই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাড়িতে। সেখানে গলায় লোহার শেকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। শেকলবন্দী মিজানুরের ছবি রনি পাঠিয়ে দেয় মিজানুরের স্ত্রীর মোবাইল ফোনে। দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা। দাবিকৃত টাকা রনির পিতা উজির আলীর নিকট না দিলে মিজানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। মিজানুর রহমানের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ স্ত্রী গত ৯ আগস্ট আলমডাঙ্গা ছুটে গিয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রনির পিতা উজির আলী, স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও মা সাবিনা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। রনিকে জানানো হয় যে, অপহৃত মিজানকে মুক্তি না দিলে তার স্ত্রী, মা-বাপকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। বিপাকে পড়ে রনি মিজানকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। তার কথা মত মিজানকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে বলেশ্বরপুরের মেম্বর সাইফুল ইসলাম ও রনির ছোট ভাই টনি গত ১০ আগস্ট যায় ঢাকায়। কিন্তু ঢাকা থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের হাতে তুলে না দিয়ে যেতে বলেন ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ পৌঁছে তারা রনির নির্দেশনা মত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গতকাল ১১ আগস্ট মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত করা হতে পারে।