নিকারাগুয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ: নিহতের সংখ্যা কেন বেড়েই চলেছে !

  • আপডেট সময় : ১২:২২:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিকারাগুয়ার মোনিম্বো শহরের সমাধিস্থানে পুরোনো একটি রণসঙ্গীতের সুর বাজাচ্ছিলো বাদকদল। হোসে পালাসিওস নামের এক তরুণের মরদেহ সৎকারের জন্য সেখানে জড়ো হয়েছেন তার আত্মীয় ও বন্ধুরা।

নিকারাগুয়ায় গত তিনমাসের অস্থিরতায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের একজন ২৭ বছর বয়সী পালাসিওস। নিকারাগুয়ায় তিনমাসে নিহত হওয়া প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষের সবাই প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষেোভ করেছিলেন।

পালাসিওসের বিধবা স্ত্রী রোকসানা বলেন, নিকারাগুয়ায় চলতে থাকা অবিচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন তাঁর স্বামী।

সমাধিক্ষেত্রের বাইরে শহরের মূল চত্বরের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। সেখানে রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র হাতে, মুখোশ পড়ে বসে আছে বেশ কয়কেজন, যাদের কোনো একজনের গুলিতেই হয়তো পালাসিওস মারা গেছেন।

সান্দিনিস্তা বিদ্রোহের বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

প্রায় চার দশক আগে ঐ বিদ্রোহের মধ্যে দিয়েই নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট হন ড্যানিয়েল ওর্তেগা।

প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার বিরুদ্ধে এখন নিকারাগুয়ায় যেরকম আন্দোলন চলছে, ১৯৭৯ সালে ঠিক এরকমই এক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওর্তেগা নিজে।

নিকারাগুয়ার সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার তত্বাবধানেই সেটি সাধারণ মানুষ আর ওর্তেগা সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।

সান্দিনিস্তা বিদ্রোহের শুরু থেকে ঐ এলাকায় কাজ করা সাংবাদিক জন লি অ্যান্ডারসন বলেন, ওর্তেগা নিজে একসময় যেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এখন নিজে ঐ একই অন্যায় করছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিকারাগুয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ: নিহতের সংখ্যা কেন বেড়েই চলেছে !

আপডেট সময় : ১২:২২:২৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

নিকারাগুয়ার মোনিম্বো শহরের সমাধিস্থানে পুরোনো একটি রণসঙ্গীতের সুর বাজাচ্ছিলো বাদকদল। হোসে পালাসিওস নামের এক তরুণের মরদেহ সৎকারের জন্য সেখানে জড়ো হয়েছেন তার আত্মীয় ও বন্ধুরা।

নিকারাগুয়ায় গত তিনমাসের অস্থিরতায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের একজন ২৭ বছর বয়সী পালাসিওস। নিকারাগুয়ায় তিনমাসে নিহত হওয়া প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষের সবাই প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষেোভ করেছিলেন।

পালাসিওসের বিধবা স্ত্রী রোকসানা বলেন, নিকারাগুয়ায় চলতে থাকা অবিচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন তাঁর স্বামী।

সমাধিক্ষেত্রের বাইরে শহরের মূল চত্বরের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। সেখানে রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র হাতে, মুখোশ পড়ে বসে আছে বেশ কয়কেজন, যাদের কোনো একজনের গুলিতেই হয়তো পালাসিওস মারা গেছেন।

সান্দিনিস্তা বিদ্রোহের বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

প্রায় চার দশক আগে ঐ বিদ্রোহের মধ্যে দিয়েই নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট হন ড্যানিয়েল ওর্তেগা।

প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার বিরুদ্ধে এখন নিকারাগুয়ায় যেরকম আন্দোলন চলছে, ১৯৭৯ সালে ঠিক এরকমই এক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওর্তেগা নিজে।

নিকারাগুয়ার সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার তত্বাবধানেই সেটি সাধারণ মানুষ আর ওর্তেগা সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।

সান্দিনিস্তা বিদ্রোহের শুরু থেকে ঐ এলাকায় কাজ করা সাংবাদিক জন লি অ্যান্ডারসন বলেন, ওর্তেগা নিজে একসময় যেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এখন নিজে ঐ একই অন্যায় করছেন।