মেহেরপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক খবির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে রবিউল ইসলাম, শাবান আলীর ছেলে আক্কাস আলী ও আয়ুব আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সকালে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আলেক সর্দারের ছেলে খবির আলী ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তার পর থেকে আর বাড়ি না ফিরলে রাতে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে। পরদিন সকালে একই উপজেলার ওলিনগর গ্রামের একটি রাস্তার পাশে থেকে তাঁকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার ভাই আছের আলী বাদি হয়ে গাংনী থানায় এই তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রাথমিক তদস্ত শেষ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে জিল্লুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১১:০৪:৩৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক খবির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে রবিউল ইসলাম, শাবান আলীর ছেলে আক্কাস আলী ও আয়ুব আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সকালে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আলেক সর্দারের ছেলে খবির আলী ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তার পর থেকে আর বাড়ি না ফিরলে রাতে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে। পরদিন সকালে একই উপজেলার ওলিনগর গ্রামের একটি রাস্তার পাশে থেকে তাঁকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার ভাই আছের আলী বাদি হয়ে গাংনী থানায় এই তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রাথমিক তদস্ত শেষ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে জিল্লুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।