শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

নান্দাইলে ভারী বর্ষণে কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে, কৃষকের মাথায় হাত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নীচু জায়গার বিল ও হাওরের জমিতে লাগানো বোরো পাকা ধান টানা দুই দিনের ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই জমির কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এখন দিশেহারা অবস্থা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার যোগের হাওড়, দলিঘাট বিল, রামহুন্নী বিল, ঝালিয়া বিল, ধরগাঁও বিল সহ অনেক জমির ফসলি পাকা ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার নীচু এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এই বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ফসল কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মজুরি হাকার কারণে তাদের ধান কাটার কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কচুরিপানায় ঘিরে ফেলেছে। কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই তাদের তলিয়ে যাওয়া ফসলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, “কোমর পানিতে ধান কেটে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে একটু মুজুরী বেশীই নিতে হয়।” অপরদিকে কৃষক মোমেন জানান, “শ্রমিক সংকটের কারনে মুজুরী বেশী হলেও কিছু করার নেই পাকা ধানতো ঘরে তুলতে হবে। তারউপর আবার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এতে আরো সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।” কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “উচু জমির ফসলি ধান কাটতে কাঠা প্রতি দিতে হতো ৬শত টাকা থেকে ৭শত টাকা এখন পানিতে তলিয়ে যাওয়া দিতে হচ্ছে ৭শত টাকা থেকে ৯শত টাকা পর্যন্ত।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার নদী ও পরিত্যক্ত খালগুলো পুন: খননের ব্যবস্থা করা হলে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ক্ষতি এড়ানো সম্ভবপর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

নান্দাইলে ভারী বর্ষণে কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে, কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নীচু জায়গার বিল ও হাওরের জমিতে লাগানো বোরো পাকা ধান টানা দুই দিনের ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই জমির কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এখন দিশেহারা অবস্থা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার যোগের হাওড়, দলিঘাট বিল, রামহুন্নী বিল, ঝালিয়া বিল, ধরগাঁও বিল সহ অনেক জমির ফসলি পাকা ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার নীচু এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এই বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ফসল কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মজুরি হাকার কারণে তাদের ধান কাটার কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কচুরিপানায় ঘিরে ফেলেছে। কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই তাদের তলিয়ে যাওয়া ফসলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, “কোমর পানিতে ধান কেটে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে একটু মুজুরী বেশীই নিতে হয়।” অপরদিকে কৃষক মোমেন জানান, “শ্রমিক সংকটের কারনে মুজুরী বেশী হলেও কিছু করার নেই পাকা ধানতো ঘরে তুলতে হবে। তারউপর আবার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এতে আরো সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।” কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “উচু জমির ফসলি ধান কাটতে কাঠা প্রতি দিতে হতো ৬শত টাকা থেকে ৭শত টাকা এখন পানিতে তলিয়ে যাওয়া দিতে হচ্ছে ৭শত টাকা থেকে ৯শত টাকা পর্যন্ত।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার নদী ও পরিত্যক্ত খালগুলো পুন: খননের ব্যবস্থা করা হলে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ক্ষতি এড়ানো সম্ভবপর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।