শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

নান্দাইলে ভারী বর্ষণে কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে, কৃষকের মাথায় হাত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নীচু জায়গার বিল ও হাওরের জমিতে লাগানো বোরো পাকা ধান টানা দুই দিনের ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই জমির কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এখন দিশেহারা অবস্থা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার যোগের হাওড়, দলিঘাট বিল, রামহুন্নী বিল, ঝালিয়া বিল, ধরগাঁও বিল সহ অনেক জমির ফসলি পাকা ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার নীচু এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এই বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ফসল কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মজুরি হাকার কারণে তাদের ধান কাটার কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কচুরিপানায় ঘিরে ফেলেছে। কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই তাদের তলিয়ে যাওয়া ফসলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, “কোমর পানিতে ধান কেটে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে একটু মুজুরী বেশীই নিতে হয়।” অপরদিকে কৃষক মোমেন জানান, “শ্রমিক সংকটের কারনে মুজুরী বেশী হলেও কিছু করার নেই পাকা ধানতো ঘরে তুলতে হবে। তারউপর আবার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এতে আরো সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।” কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “উচু জমির ফসলি ধান কাটতে কাঠা প্রতি দিতে হতো ৬শত টাকা থেকে ৭শত টাকা এখন পানিতে তলিয়ে যাওয়া দিতে হচ্ছে ৭শত টাকা থেকে ৯শত টাকা পর্যন্ত।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার নদী ও পরিত্যক্ত খালগুলো পুন: খননের ব্যবস্থা করা হলে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ক্ষতি এড়ানো সম্ভবপর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

নান্দাইলে ভারী বর্ষণে কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে, কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নীচু জায়গার বিল ও হাওরের জমিতে লাগানো বোরো পাকা ধান টানা দুই দিনের ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই জমির কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এখন দিশেহারা অবস্থা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার যোগের হাওড়, দলিঘাট বিল, রামহুন্নী বিল, ঝালিয়া বিল, ধরগাঁও বিল সহ অনেক জমির ফসলি পাকা ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার নীচু এলাকার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এই বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ফসল কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মজুরি হাকার কারণে তাদের ধান কাটার কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কচুরিপানায় ঘিরে ফেলেছে। কোনো কোনো কৃষককে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই তাদের তলিয়ে যাওয়া ফসলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, “কোমর পানিতে ধান কেটে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে একটু মুজুরী বেশীই নিতে হয়।” অপরদিকে কৃষক মোমেন জানান, “শ্রমিক সংকটের কারনে মুজুরী বেশী হলেও কিছু করার নেই পাকা ধানতো ঘরে তুলতে হবে। তারউপর আবার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এতে আরো সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।” কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “উচু জমির ফসলি ধান কাটতে কাঠা প্রতি দিতে হতো ৬শত টাকা থেকে ৭শত টাকা এখন পানিতে তলিয়ে যাওয়া দিতে হচ্ছে ৭শত টাকা থেকে ৯শত টাকা পর্যন্ত।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার নদী ও পরিত্যক্ত খালগুলো পুন: খননের ব্যবস্থা করা হলে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ক্ষতি এড়ানো সম্ভবপর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।