শিরোনাম :
Logo কৃষকদের কষ্ট লাগবে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিদর্শন করলেন পিআইও রাকিবুল ইসলাম Logo শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বন্যপ্রাণী পাচারের তালিকায় বাংলাদেশ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বন্যপ্রাণী পাচারে বিশ্বজুড়ে ২৬টি ‘ফোকাস’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে এ তালিকা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।

যেসব দেশে থেকে বন্যপ্রাণী পাচার, বন্যপ্রাণী পাচারের পথ বা রুট হিসেবে ভূখণ্ড ব্যবহার অথবা যে দেশে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণী ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের নিয়ে ফোকাস দেশের তালিকা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে কঙ্গো, লাওস ও মাদাগাস্কারের বন্য প্রাণী পাচার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

দেশটির কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবেদনটি শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আগামী চার বছর ২৬টি দেশের বন্য প্রাণী পাচার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

২৬টি দেশে ফোকাস তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, উগান্ডা, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্যপ্রাণী পাচার রোধ আইন-২০১৬ অনুযায়ী এই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। নির্বাহী আদেশে প্রধান চারটি বিষয়ের একটি হলো বন্যপ্রাণী পাচার রোধ।

এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশে বাঘ হত্যা ও পাচার নিয়ে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে দুটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে দেয়। সেখানে বাঘ হত্যা ও পাচারের সঙ্গে প্রভাবশালী চক্র জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

‘বাংলাদেশ সুন্দরবনে বাঘের বাণিজ্য’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৭৬ শতাংশ কমে গেছে। পেশাদার বন্যপ্রাণী শিকারি একটি চক্র বাঘ হত্যা করে তা ভারতে পাচার করছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষকদের কষ্ট লাগবে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিদর্শন করলেন পিআইও রাকিবুল ইসলাম

বন্যপ্রাণী পাচারের তালিকায় বাংলাদেশ!

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বন্যপ্রাণী পাচারে বিশ্বজুড়ে ২৬টি ‘ফোকাস’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে এ তালিকা সম্বলিত একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।

যেসব দেশে থেকে বন্যপ্রাণী পাচার, বন্যপ্রাণী পাচারের পথ বা রুট হিসেবে ভূখণ্ড ব্যবহার অথবা যে দেশে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণী ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের নিয়ে ফোকাস দেশের তালিকা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে কঙ্গো, লাওস ও মাদাগাস্কারের বন্য প্রাণী পাচার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

দেশটির কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবেদনটি শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আগামী চার বছর ২৬টি দেশের বন্য প্রাণী পাচার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

২৬টি দেশে ফোকাস তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, উগান্ডা, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্যপ্রাণী পাচার রোধ আইন-২০১৬ অনুযায়ী এই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। নির্বাহী আদেশে প্রধান চারটি বিষয়ের একটি হলো বন্যপ্রাণী পাচার রোধ।

এর আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশে বাঘ হত্যা ও পাচার নিয়ে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে দুটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে দেয়। সেখানে বাঘ হত্যা ও পাচারের সঙ্গে প্রভাবশালী চক্র জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

‘বাংলাদেশ সুন্দরবনে বাঘের বাণিজ্য’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৭৬ শতাংশ কমে গেছে। পেশাদার বন্যপ্রাণী শিকারি একটি চক্র বাঘ হত্যা করে তা ভারতে পাচার করছে।