শিরোনাম :
Logo নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না: আলী রীয়াজ Logo দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo শতবর্ষী মাঠে নির্মাণসামগ্রী, হারিয়ে যাচ্ছে খেলাধুলা Logo ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে অন্য রাষ্ট্রের রক্তচক্ষুকে ভয় করে না জামায়াত’ Logo ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে চায় ইরান Logo জবিতে প্রথম পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল Logo রাবিতে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত Logo কচুয়ায় সাচারে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত Logo কুবিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ ইবির ছাত্রসংগঠনগুলোর

এতিম পশু-পাখিকে আশ্রয় দেন যিনি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২০:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে মা-বাবা হারা পশু-পাখিদের আশ্রয় দিচ্ছেন ভারতের সামাজিক কর্মী ড. প্রকাশ আমতে। শুধু আশ্রয় নয়, তাদের খাবার-চিকিৎসারও বন্দোবস্থ করে আসছেন।

মহারাষ্ট্র প্রদেশের গড়চিরুলি জেলার ভামরগড় তালুকের হেমালকাসা গ্রামের পাশে দানদারায়ানা বন। পাশেই সস্ত্রীক থাকতেন ড. প্রকাশ। ওই অঞ্চলে মাদিয়া আদিবাসীগোষ্ঠী বাস করে। খাবারের প্রয়োজন মেটাতে মাদিয়ারা তো প্রায়ই মা পশুপাখিদের শিকার করে। তখন তাদের বাচ্চাটা হয় মায়ের সঙ্গে মাদিয়াদের হাতেই প্রাণ দেয়, নয়তো বনের মধ্যে না খেতে পেরেই মারা যায় কিংবা মারা পড়ে অন্য শিকারি প্রাণীর হাতে।

বিষয়টি খেয়াল করার পর ড. প্রকাশ মাদিয়াদের সঙ্গে তিনি একটা চুক্তি করলেন। মাদিয়ারা যদি কোনো প্রাণীকে শিকার করে, বাচ্চাটাকে দিয়ে যাবে ড. প্রকাশের বাসায়। তার বিনিময়ে ডাক্তার তাদের দেবেন চাল, কাপড় আর ওষুধপত্র। আর সেই পশুপাখির বাচ্চাদের জন্য নিজ বাসায় বানিয়ে ফেললেন এতিমখানা।

১৯৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় এই পশুপাখিদের এতিমখানা বা এনিম্যাল আর্কের। এখানে দেখা মিলবে সাপ, পাখি, কুমির, পেঁচা, হায়েনা, বানর, হরিণ, পেঁচার। শুধু পশু-পাখির জন্যই নয়, আদিবাসী মাদিয়াদের জন্য একটি হাসপাতাল বা দাওয়াখানা গড়েছেন। আবাসিক স্কুল বা আশ্রমশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামাজিক কাজে অবদানের স্বীকৃতিও পেয়েছেন ভারত সরকারের কাছ থেকে। ২০০২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ঘোষিত হন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না: আলী রীয়াজ

এতিম পশু-পাখিকে আশ্রয় দেন যিনি !

আপডেট সময় : ১২:২০:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে মা-বাবা হারা পশু-পাখিদের আশ্রয় দিচ্ছেন ভারতের সামাজিক কর্মী ড. প্রকাশ আমতে। শুধু আশ্রয় নয়, তাদের খাবার-চিকিৎসারও বন্দোবস্থ করে আসছেন।

মহারাষ্ট্র প্রদেশের গড়চিরুলি জেলার ভামরগড় তালুকের হেমালকাসা গ্রামের পাশে দানদারায়ানা বন। পাশেই সস্ত্রীক থাকতেন ড. প্রকাশ। ওই অঞ্চলে মাদিয়া আদিবাসীগোষ্ঠী বাস করে। খাবারের প্রয়োজন মেটাতে মাদিয়ারা তো প্রায়ই মা পশুপাখিদের শিকার করে। তখন তাদের বাচ্চাটা হয় মায়ের সঙ্গে মাদিয়াদের হাতেই প্রাণ দেয়, নয়তো বনের মধ্যে না খেতে পেরেই মারা যায় কিংবা মারা পড়ে অন্য শিকারি প্রাণীর হাতে।

বিষয়টি খেয়াল করার পর ড. প্রকাশ মাদিয়াদের সঙ্গে তিনি একটা চুক্তি করলেন। মাদিয়ারা যদি কোনো প্রাণীকে শিকার করে, বাচ্চাটাকে দিয়ে যাবে ড. প্রকাশের বাসায়। তার বিনিময়ে ডাক্তার তাদের দেবেন চাল, কাপড় আর ওষুধপত্র। আর সেই পশুপাখির বাচ্চাদের জন্য নিজ বাসায় বানিয়ে ফেললেন এতিমখানা।

১৯৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় এই পশুপাখিদের এতিমখানা বা এনিম্যাল আর্কের। এখানে দেখা মিলবে সাপ, পাখি, কুমির, পেঁচা, হায়েনা, বানর, হরিণ, পেঁচার। শুধু পশু-পাখির জন্যই নয়, আদিবাসী মাদিয়াদের জন্য একটি হাসপাতাল বা দাওয়াখানা গড়েছেন। আবাসিক স্কুল বা আশ্রমশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামাজিক কাজে অবদানের স্বীকৃতিও পেয়েছেন ভারত সরকারের কাছ থেকে। ২০০২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ঘোষিত হন তিনি।