নিউজ ডেস্ক:
৩৮৮ রানের লক্ষ্য। তারমধ্যে ২০৩ রানে ৫ উইকেট নেই। চতুর্থ দিনে এমন অবস্থায় লঙ্কানদের পক্ষে বাজি ধরার কেউ ছিল কিনা জানা নেই। তবে যেভাবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে না থাকারই কথা। কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর ক্যাচ মিসের সুবিধা নিয়ে ৪ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল লঙ্কানরা। যেখানে টেস্টের ১৪০ বছরের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র চারটি। তবে এর কোনোটিই উপমহাদেশের মাটিতে নয়। সবগুলোই এশিয়ার বাইরে।
রীতিমত অবিশ্বাস্য। লঙ্কানদেরও সম্ভবত কেউ বিশ্বাস রাখতে পারেননি, তারা এই টেস্টটা জিততে পারেন। এরই মধ্যে দলের অধিকাংশই তরুণ। কিন্তু তাদের মধ্যে যে প্রতিভার অভাব নেই সেটাই করে দেখাল সাঙ্গাকারা ও মাহেলার উত্তরসূচিরা।
লাঞ্চের পর বিলম্বিত দ্বিতীয় সেশনেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। আর এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও সিরিজের একমাত্র টেস্ট জয়ে সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারবেন লঙ্কান দিনেশ চান্দিমালরা।
যদিও একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। থার্ড আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্তটা পক্ষে না যাওয়ায় অবশ্য আফসোস করতেই পারেন জিম্বাবুয়ে। লঙ্কানদের স্কোর ৩৩৭। আর ৩৭ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা নিরোশান ডিকভেলা স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। থার্ড আম্পায়ারকে কল করা হয়। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলো দাগের ওপরই রয়েছে ডিকভেলার পা। স্ট্যাম্পিংয়ে ‘অন দ্য লাইন’ মানে পরিস্কার আউট। কিন্তু স্বাগতিকদের হতাশ করে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দিলেন ভারতীয় আম্পায়ার চেত্তিহোদি শামসুদ্দিন।
এরপর আরও একবার জীবন পেলেন ডিকভেলা। এবার অবশ্য আম্পায়ারের দোষ নয়। ডিকভেলার ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভা। শেষ পর্যন্ত ৮১ রান করে ডিকভেলা আউট হলেও অ্যাসেলা গুনারত্নের সঙ্গে ১২১ জুটি বেঁধে লঙ্কানদের জয় পথ অনেকটা মসৃন করে যায়। যেটার পরিসমাপ্তি হলে জিম্বাবুয়েকে হতাশায় ডুবিয়ে শ্রীলঙ্কার এক ঐতিহাসিক জয়ে। দিলরুয়ান পেরেরাকে (২৯) সঙ্গে নিয়ে ম্যাচের বাকি কাজটা শেষ করে আসেন অ্যাসেলা গুনারত্নে (৮০)।