মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

পলিন হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে চলবে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সকালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিহত পলিনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে আসামিদের আপিলের রায় দেওয়ার জন্য গতকাল রোববার আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সেনাবাহিনীর মেজর নাজমুলসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে বলে রায় দেন।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মেজর নাজমুলসহ অন্য আসামিরা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম।

পরে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারি ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলামিন ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত মেজর নাজমুল হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অন্য চার অভিযুক্ত হলেন- ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন কমিশন্ড অফিসার মো. নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর  মনির আহমেদ চৌধুরী।
পাঁচ আসামির মধ্যে মেজর নাজমুলসহ চারজন জামিনে আছেন। মামলার অন্য আসামি মেজর মনির পলাতক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

পলিন হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে চলবে !

আপডেট সময় : ১১:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সকালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিহত পলিনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে আসামিদের আপিলের রায় দেওয়ার জন্য গতকাল রোববার আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সেনাবাহিনীর মেজর নাজমুলসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে বলে রায় দেন।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মেজর নাজমুলসহ অন্য আসামিরা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম।

পরে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারি ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলামিন ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত মেজর নাজমুল হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অন্য চার অভিযুক্ত হলেন- ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন কমিশন্ড অফিসার মো. নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর  মনির আহমেদ চৌধুরী।
পাঁচ আসামির মধ্যে মেজর নাজমুলসহ চারজন জামিনে আছেন। মামলার অন্য আসামি মেজর মনির পলাতক।