1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
হাদিসের আলোকে শিরকাত বা অংশীদারিত্ব! | Nilkontho
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রবিবার | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
গাজায় নিহত আরও ১২০, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৪৪ হাজার ২০০ সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি, কেমন থাকবে আবহাওয়া নেতাকর্মীদের নতুন নির্দেশনা দিলেন তারেক রহমান ঝিনাইদহে ফসলের সাথে শত্রুতা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে শিশুর দেহে বার্ড ফ্লু শনাক্ত নতুন বাংলাদেশে পা-চাটাদের জায়গা হবে না : সাকি ‘সিওপিডিতে ভুগছে দেশের ৮০ লাখ মানুষ’ চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ লাখ টাকার স্বর্ণের গহনা উদ্ধার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কোন দেশগুলো নিরাপদ থাকবে? জ্বালানিখাতে ৩ মাসে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়: জ্বালানি উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয় রোহিঙ্গা ইস্যু সন্দ্বীপে ক্যারিয়ার কনফিগারেশন ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিতাড়িত স্বৈরাচার বিদেশি প্রভুদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে : তারেক রহমান পিকনিকের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু তারেক রহমানকে দিয়েই সম্ভব ন্যায়ের রাজনীতি কায়েম করা আ. লীগকে ক্ষমা করার মানে ৪ হাজার মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা- হাসনাত বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব: ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় জিহ্বা সংযত রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য ৩৬ বল বাকি থাকতেই বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৫৭ বাংলাদেশি

হাদিসের আলোকে শিরকাত বা অংশীদারিত্ব!

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

প্রশ্ন : নবী (সা.) এর বাণী দ্বারা কী শিরকাত প্রমাণিত হয়? বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর : নবী করিম (সা.) এর কথা ও কাজকর্ম উভয়টি থেকেই শিরকাত বা অংশীদারিত্বের বৈধতা ও গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে এর দ্বারা সফলতা কীভাবে আসবে, তাও প্রমাণিত হয়।
হাদিস নং-১ : হাদিসে কুদসি : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি দুই অংশীদারের মধ্যে তৃতীয় অংশীদার হই, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কেউ খেয়ানত না করে।’ (আবু দাউদ)।
আর ‘দারা কুতনি’র বর্ণনায় আছে, ‘যখন তাদের একজন অপরজনের সঙ্গে খেয়ানত করে, তখন তা বিনষ্ট হয়ে যায়।’ অর্থাৎ খেয়ানত করার কারণে বরকত চলে যায়।
এ হাদিসের মধ্যে শুধু যৌথ লেনদেনের বৈধতার কথা বলে শেষ করা হয়নি; বরং এর প্রতি যথেষ্ট অনুপ্রেরণাও দেয়া হয়েছে এই বলে যে, যতদিন পর্যন্ত অংশীদারদের মাঝে খেয়ানত হবে না, ততদিন আল্লাহ তায়ালা তাদের সঙ্গে থাকবেন এবং বরকত দানসহ তাদের হেফাজত করবেন।
হাদিস নং-২ : নোমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে লোকের ওপর যৌথ সম্পদের আমানত এবং তা সংরক্ষণের দায়িত্ব আরোপ হয়েছে, সে যদি ওই সম্পদের মধ্যে খেয়ানত করে, তবে তিনি (সা.) তার থেকে দায়মুক্ত।’ (বায়হাকি)।
এ রেওয়ায়েত দ্বারাও যৌথ লেনদেনের বৈধতা প্রমাণিত হয়, উপরন্তু সে ক্ষেত্রে খেয়ানত না করার নির্দেশও প্রমাণিত হয়।
হাদিস নং-৩ : নবী (সা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘যৌথ কারবারিরা যতদিন খেয়ানত না করে, ততদিন আল্লাহর হাত (সাহায্য) তাদের সঙ্গে থাকে। আর যখন তারা খেয়ানত করে বসে, তখন তাদের ব্যবসার বিলুপ্তি ঘটে এবং এর থেকে বরকত উঠিয়ে নেয়া হয়।’ (আবু দাউদ)।
এ রেওয়ায়েত দ্বারাও যৌথ ব্যবসার প্রমাণ, ফজিলত, গুরুত্ব এবং উৎসাহ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে খেয়ানতের অশুভ পরিণতির কথাও প্রতিভাত হয়।
হাদিস নং-৪ : হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, দুইজন লোক নবী (সা.) এর যুগে যৌথ কারবার করত, তাদের একজন বাজার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত থাকত, আরেকজন মসজিদ এবং নবী (সা.) এর পেছনে নামাজ আদায়ে গুরুত্বারোপ করত। পরে যখন মুনাফা বণ্টন করার সময় হলো, তখন প্রথমজন তার অংশের চেয়ে অধিক দাবি করে বলল যে, আমাকে বেশি দিতে হবে, যেহেতু আমি ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিক পরিশ্রম করেছি আর তুমি তো নামাজে বেশি সময় ব্যয় করেছ। অতঃপর দুইজন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি বর্ণনা করলে নবী (সা.) প্রথমজন অর্থাৎ ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত ব্যক্তিকে বললেন, তোমার এ সাথী মসজিদে পাবন্দির সঙ্গে নামাজ আদায় করার বদৌলতেই তোমাকে রিজিক দেয়া হতো।’ (আর-রাওজুন নাদির শারহু মাজমুয়িল ফিকহিল কবির ৩/৩৬২)
হাদিস নং-৫ : ‘নাইলুল আওতার’ গ্রন্থে আল্লামা শাওকানি (রহ.) আবু মিনহালের একটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেনÑ
হজরত যায়দ ইবনে আরকাম এবং হজরত বারা বিন আজিব (রা.) অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নগদে ও বাকিতে রুপা ক্রয় করলেন। এ কথা নবী (সা.) জানার পর বললেন, ‘যে রুপা নগদ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে, তা ঠিক রাখ; যা বাকিতে ক্রয় করা হয়েছে, তা ফেরত দাও।’ (বোখারি)।
উল্লিখিত হাদিস থেকে তিনটি বিষয় উদ্ভাবিত হয়Ñ
১. শরিকি লেনদেনের বৈধতা। ২. দিনার-দেরহামে শরিকি লেনদেনের বৈধতা। ৩. স্বর্ণ-রুপার ক্রয়-বিক্রয় নগদে জায়েজ আর বাকিতে নাজায়েজ হওয়া।
হাদিস নং-৬ : নবী (সা.) এরশাদ করেন, “তোমরা ‘শিরকাতে মুফাওয়াজা’ (অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শরিকি কারবার) করো। কারণ, এটি একটি অতি বরকতময় শরিকি কারবার।’ (বাদায়িউস সানায়ি)।
এ রেওয়ায়েত দ্বারাও শরিকি কারবারের বৈধতা সাধারণভাবে এবং শিরকাতে মুফাওয়াজার বৈধতা বিশেষভাবে প্রতিভাত হচ্ছে। উপরন্তু এর গুরুত্ব ও ফজিলত প্রতীয়মান হচ্ছে।
হাদিস নং-৭ : নবী (সা.) এ রেওয়ায়েতের মধ্যে শরিকি কারবারের লাভ-লোকসানের মূলনীতির বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন যে, ‘মুনাফার হিসাব উভয় অংশীদারের শর্ত এবং চুক্তির ভিত্তিতে হবে। আর লোকসান উভয়ের মূলধন হিসেবে হবে।’
উপরোল্লিখিত রেওয়ায়েত দ্বারা যৌথ কারবারের শুধু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাই নয়, বরং এর লাভ-লোকসান ও বিভাজনের মূলনীতিরও প্রতিভাত হচ্ছে। অর্থাৎ মুনাফা উভয় পক্ষের চুক্তি মতে হবে আর ক্ষয়ক্ষতি উভয় পক্ষের মূলধন হিসেবে বিভাজন হবে।
হাদিস নং-৮ : নবী (সা.) এর কাজকর্ম দ্বারাও যৌথ কারবারের প্রমাণ পাওয়া যায় যে, নবী (সা.) স্বয়ং হজরত সায়িব ইবনে আবু সায়িবের (রা.) সঙ্গে ইসলামের প্রথম যুগে, আরেক রেওয়ায়েত মতে জাহিলিয়াত যুগে শরিকি কারবার করেছিলেন। আল্লামা শাওকানি (রহ.) এ সম্পর্কে কয়েকটি রেওয়ায়েত বর্ণনা করেনÑ
হজরত সায়িব ইবনে আবুস-সায়িব (রা.) হুজুর (সা.) কে বললেন, ‘আমি জাহিলিয়াত যুগে আপনার অংশীদার ছিলাম। আর আপনি একজন অতি সৎ অংশীদার। আপনি বেশি নম্রতা পোষণ করতেন না; আর ঝগড়ায়ও লিপ্ত হতেন না।’ (আবু দাউদ)।
আরেক রেওয়ায়েতে আছে যে, হজরত সায়িব (রা.) নবী (সা.) এর সঙ্গে ইসলামের প্রথম অবস্থায় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। অতঃপর মক্কা বিজয় দিবসে তিনি নবী (সা.) কে বললেন, ‘ধন্যবাদ হে আমার ভাই, হে আমার অংশীদার! আপনি না বেশি নম্রতা পোষণ করতেন; আর না ঝগড়াবিবাদে লিপ্ত হতেন।’ (বায়হাকি)।
হাফেজ ইবনে আবদুল বার (রহ.) বলেন, তিনি নবী (সা.) এর সঙ্গে ইসলামের প্রথম যুগে ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি নবী (সা.) কে স্বাগত জানান এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘ধন্যবাদ হে আমার ভাই! হে আমার অংশীদার! যিনি তেমন নম্রতাও পোষণ করতেন না আবার বিবাদেও জড়িত হতেন না।’ (সুবুলুস সালাম)।
হাদিস নং-৯ : নবী (সা.) এর সাহাবি হজরত হাকিম বিন হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি যখন কাউকে কোনো ঋণ দিতেন, তখন এ শর্ত আরোপ করতেন যে, ‘তুমি আমার মাল কোনো ভেজা জিনিসের মধ্যে রাখতে পারবে না, নদনদীতে নিয়ে যেতে পারবে না এবং তুমি এ মাল নিয়ে এমন কোনো স্থানে যেতে পারবে না যে স্থানে পানি প্রবাহিত হয়। যদি ওইসব কাজ তুমি করো (আর সম্পদ নষ্ট হয়) তাহলে তোমাকে এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।’ (দারা কুতনি)।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৮
  • ১১:৫৩
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৩৭
  • ৬:২২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০