নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির কাছে নিজের শক্তি প্রমাণ করতে চান উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তাই ওয়াশিংটনের পর বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেও শনিবার ফের ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। যদিও তা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, চীনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষার মাশুল উত্তর কোরিয়াকে দিতে হতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখনও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি।
তবে উত্তর কোরিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা যে আরও কড়া হতে চলেছে। তা স্পষ্ট করেছে ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ং-এর ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিম জং উন চীনকেও অপমান করেছে বলে উস্কে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে, কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এবার আমেরিকার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে চীনও। প্রসঙ্গত, শুক্রবার জাতিসংঘে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা নিয়ে ওয়াশিংটনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেনি বেইজিং।
আর এতেও সমস্যা বাড়তে পারে কিম জং উনের। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত, চীনা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হলে সবার প্রথমে প্রিয় খাবার চাউমিন হারাতে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক।
৩২ বছরের উত্তর কোরিয়ার এই সুপ্রিম কমান্ডারের অত্যন্ত প্রিয় চীনের বিশেষ এই চাউমিন। রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য এই চাউমিন প্রতি মাসে চীন থেকে আমদানি করে উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের বাসকেট বল প্রীতি পরিচিত হলেও চাউমিন প্রীতি সম্পর্কে সেভাবে জানা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির মতে, মিনিটেই গরম করা যায় ওই চাউমিন খেতে ভালোবাসেন কিম। কিন্তু, চীনা নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, প্রিয় চাউমিন হারাতে পারেন উত্তর কোরিয়ার শাসক।
তবে কি পিছু হটবেন কিম? পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের মতে, কিমের পিছু হটার কোনো লক্ষণ তাঁরা দেখছেন না। অন্তত চাউমিনের জন্য তো নয়ই !