বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্কের অবৈধ সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবক ও তার দুই সঙ্গী এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার সজিব (২০), সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, প্রতিবেশী এবং ফুফা হিসেবে সজিবের সাথে কিশোরীর প্রায়ই মোবাইলে কথা হত। বৃহস্পতিবার সজিব তাকে রাতে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে দেখা করার জন্য ডাকেন। এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সজিব কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বাইরে ডাকেন। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার অজুহাতে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি নির্জন বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান । সেখানে গিয়ে প্রথমে সজিব নিজে জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।এরপর তার দুই সঙ্গী সোহেল ও নাহিদ পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা শেষে তারা তিনজন অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
অবর্ণ্য যন্ত্রণা সহ্য করেও কিশোরী সজিবকে ধাওয়া করেন। পথে দুই পথচারী তার করুন চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন এবং ঘটনার বিবরণ জেনে তাকে উদ্ধার করে ঘরে পৌঁছে দেন। অভিযুক্তরা প্রথমে এই ঘটনা ধামা চাপা দিতে চাইলে, কিশোরী বিকেল বেলা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানার ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসেন। শনিবার তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী ইতিমধ্যেই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।