শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুরআনে নারীর মর্যাদা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারীর মর্যাদা ও সম্মান পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম। যা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে বড় বড় স্লোগান দেয়া হয় যে, ইসলাম নারীকে সঠিক মর্যাদা দেয়নি বরং ঠকিয়েছে। অথচ যারা এ অপবাদ দেয়, তাদের পরিবার ও গণ্ডির মধ্যেই নারীদের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।
ইসলাম নারীকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা অনুধাবন করতে হলে অতীতের ইউনানি সমাজ, রোমান সমাজ, ইয়াহুদি সমাজ, খ্রিস্টান সমাজ, বৌদ্ধ সমাজ, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়কালসহ হিন্দু সমাজের নারীদের অবস্থানের দিকে তাকাতে হবে। ইসলাম নারীদেরকে যে মর্যাদা ও অধিকার প্রদান করেছে তার পার্থক্য নিরুপন করতে হলে পূববর্তী সব সমাজের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে কুরআন-সুন্নাহর বক্তব্য মিলিয়ে দেখলেই তা প্রকাশ পেয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা পুরুষের জন্য যতগুণ ও মর্যাদা নিরুপন করেছেন, ঠিক সঙ্গে সঙ্গে নারীদেরকেও সে সব গুণ ও মর্যাদায় শামিল রেখেছেন। তাদের উভয়ের জন্যই ক্ষমা ও পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩৫)

আবার ইসলামের আগমনের পূর্বে একটা সময় এমন করুন ছিল যে, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করাকে কুলক্ষণে, দুঃসংবাদ, লজ্জা এবং দারিদ্র্যতার কারণ মনে করা হতো। যে কারণে তারা তাদের সদ্য জন্ম নেয়া এ সব নিষ্পাপ কন্যা সন্তানদের জীবন্ত মাটি চাপা দিতো। ওই সব লোকদের ধিক্কার জানিয়ে আল্লাহ বলেন-

‘আর যখন সুসংবাদ দেয়া হয় তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের, তার মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায় আর সে হয় বড়ই ব্যথিত। সে মুখ লুকায় লোকদের থেকে, তাকে যে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে তার গ্লানির কারণে। সে কি একে (জীবিত) রাখবে বেইজ্জতী সত্ত্বেও, না তাকে পুতে রাখবে (জীবন্ত কবর দিবে) মাটিতে। তাদের ফায়সালা কতইনা নিকৃষ্ট।’ (সুরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)
পরিশেষে…
নিঃসংকোচে এ কথা বলা যায় যে, ইসলাম ছাড়া অন্যান্য সব সমাজেই নারীদের অবস্থান ছিল এক কথায়, পণ্য-দ্রব্যের মতো। অর্থাৎ বাজারে যেভাবে জিনিসপত্র বিকিকিনি হয়, নারীরাও সমাজে এভাবে বিকিকিনি হতো। কোনো কিছুতেই তাদের কোনো স্বাধীনতা বা ন্যুনতম মর্যাদা ছিল না। এমনকি নারীরা নিজেদেরকে যে কোনো ধরনের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে স্বেচ্ছায় নিজেদের তালাক গ্রহণের অধিকারও সংরক্ষণ করতে পারতো না।

ইসলাম পূর্ব আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে নারীদেরকে সামাজিক প্রয়োজনে উপহার হিসাবে অন্যের হাতে তুলে দেয়াসহ কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো। এক কথায় নারীদের বাঁচা-মরা পুরুষদের হাতে নিয়ন্ত্রণ হতো।
এ সব কিছু থেকে নারীকে মুক্তি দিতে ইসলামই সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে। তাদের সর্ব প্রকার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে সব সময় একনিষ্ঠ থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে নারীদের যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিকভাবে নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কুরআনের বিধান যথাযথ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

কুরআনে নারীর মর্যাদা !

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নারীর মর্যাদা ও সম্মান পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম। যা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে বড় বড় স্লোগান দেয়া হয় যে, ইসলাম নারীকে সঠিক মর্যাদা দেয়নি বরং ঠকিয়েছে। অথচ যারা এ অপবাদ দেয়, তাদের পরিবার ও গণ্ডির মধ্যেই নারীদের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।
ইসলাম নারীকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা অনুধাবন করতে হলে অতীতের ইউনানি সমাজ, রোমান সমাজ, ইয়াহুদি সমাজ, খ্রিস্টান সমাজ, বৌদ্ধ সমাজ, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়কালসহ হিন্দু সমাজের নারীদের অবস্থানের দিকে তাকাতে হবে। ইসলাম নারীদেরকে যে মর্যাদা ও অধিকার প্রদান করেছে তার পার্থক্য নিরুপন করতে হলে পূববর্তী সব সমাজের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে কুরআন-সুন্নাহর বক্তব্য মিলিয়ে দেখলেই তা প্রকাশ পেয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা পুরুষের জন্য যতগুণ ও মর্যাদা নিরুপন করেছেন, ঠিক সঙ্গে সঙ্গে নারীদেরকেও সে সব গুণ ও মর্যাদায় শামিল রেখেছেন। তাদের উভয়ের জন্যই ক্ষমা ও পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩৫)

আবার ইসলামের আগমনের পূর্বে একটা সময় এমন করুন ছিল যে, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করাকে কুলক্ষণে, দুঃসংবাদ, লজ্জা এবং দারিদ্র্যতার কারণ মনে করা হতো। যে কারণে তারা তাদের সদ্য জন্ম নেয়া এ সব নিষ্পাপ কন্যা সন্তানদের জীবন্ত মাটি চাপা দিতো। ওই সব লোকদের ধিক্কার জানিয়ে আল্লাহ বলেন-

‘আর যখন সুসংবাদ দেয়া হয় তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের, তার মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায় আর সে হয় বড়ই ব্যথিত। সে মুখ লুকায় লোকদের থেকে, তাকে যে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে তার গ্লানির কারণে। সে কি একে (জীবিত) রাখবে বেইজ্জতী সত্ত্বেও, না তাকে পুতে রাখবে (জীবন্ত কবর দিবে) মাটিতে। তাদের ফায়সালা কতইনা নিকৃষ্ট।’ (সুরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)
পরিশেষে…
নিঃসংকোচে এ কথা বলা যায় যে, ইসলাম ছাড়া অন্যান্য সব সমাজেই নারীদের অবস্থান ছিল এক কথায়, পণ্য-দ্রব্যের মতো। অর্থাৎ বাজারে যেভাবে জিনিসপত্র বিকিকিনি হয়, নারীরাও সমাজে এভাবে বিকিকিনি হতো। কোনো কিছুতেই তাদের কোনো স্বাধীনতা বা ন্যুনতম মর্যাদা ছিল না। এমনকি নারীরা নিজেদেরকে যে কোনো ধরনের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে স্বেচ্ছায় নিজেদের তালাক গ্রহণের অধিকারও সংরক্ষণ করতে পারতো না।

ইসলাম পূর্ব আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে নারীদেরকে সামাজিক প্রয়োজনে উপহার হিসাবে অন্যের হাতে তুলে দেয়াসহ কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো। এক কথায় নারীদের বাঁচা-মরা পুরুষদের হাতে নিয়ন্ত্রণ হতো।
এ সব কিছু থেকে নারীকে মুক্তি দিতে ইসলামই সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে। তাদের সর্ব প্রকার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে সব সময় একনিষ্ঠ থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে নারীদের যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিকভাবে নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কুরআনের বিধান যথাযথ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।