মঙ্গলবার | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে !

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।