শিরোনাম :
Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে দোয়া মাহফিল Logo তুর্কেমেনিস্তানকে হারিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করতে চায় বাংলাদেশ Logo আফগান সীমান্তে ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর Logo ইসরাইলি হামলায় ১৫ জন নিহত: সিভিল ডিফেন্স Logo ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা Logo মাগুরায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান জোরদারের ওপর সেমিনার Logo নিউজের জন্য কমেন্ট নিতে গেলে বলেন ‘লিখিত দাও’, ফোন দিলে ধরেন পিএস,’জবি রেজিস্ট্রার’ Logo কচুয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রদের করুন মৃত্যু Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের নতুন নেতৃত্বে আবুল হাসান ও হাফিজুর Logo বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে দোয়া মাহফিল

নামাজ ফরজ হয়েছিল পবিত্র মেরাজের রাতে !

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আরবি শব্দ মেরাজের অর্থ সিঁড়ি, ঊর্ধ্বারোহণ। ব্যাপক অর্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখান থেকে সপ্তাকাশ এবং আরশে আজিম পৌঁছে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলাকেই মেরাজ বলে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫২ বছর বয়সে অর্থাৎ নবুওতের ১২তম সনে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে রোজ সোমবার মেরাজের আশ্চর্যতম ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

শবে মেরাজ আখেরি পয়গম্বর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেজা। আল্লাহর ইচ্ছায় যে সবই সম্ভব সেটিরই মূর্তমান প্রকাশ হলো এই রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সপ্তম আসমান পর্যন্ত ঘুরে আসার ঘটনা। মেরাজের রাতে নিমেষেই এটি সংঘটিত হয়। শবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন— ‘মহামহিম পরম পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যাতে আমি তাকে দেখিয়ে দেই, এর চারপাশের নিদর্শনগুলো, যা বরকতময়। ’

হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ শেষে হজরত উম্মে হানী (রা.)-এর গৃহে নিদ্রায় ছিলেন। এ সময় হজরত জিব্রাইল (আ.) আল্লাহতায়ালার হুকুমে জান্নাত থেকে বোরাক নামের একটি সাওয়ারি আর অসংখ্য ফেরেশতার দল নিয়ে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হাজির হয়ে সালাম দিয়ে বললেন, হুজুর! আপনার প্রতিপালক আপনাকে স্মরণ করেছেন, এই মুহূর্তেই আপনাকে তথায় গমন করতে হবে। বোরাকে করে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফের খেজুরবাগান এলাকায় এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মস্থান মাদায়েনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভ্রমণপথে অসংখ্য আশ্চর্য ঘটনা ও কর্মকাণ্ড দেখে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরিয়া ও প্রশংসা করেন। ঊর্ধ্বাকাশে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম, ঈসা, ইয়াহইয়া, ইউসুফ, ইদ্রিস, হারুন ও মূসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে হাজির হন। কোরআনের ভাষায় বলা হয়েছে— অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, তাদের মধ্যে ধনুকের দুই মাথার ব্যবধান রইল অথবা আরও নিকটে। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন যা করার ছিল। এই রাতেই আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।