নিউজ ডেস্ক:
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনার সুনীল নারিনের বন্দনায় মেতেছে আইপিএল ভক্তরা। গত শুক্রবার ইডেনে গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে কোনও সিঙ্গলস রান না-নিয়ে আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নজির গড়েন ক্যারিবিয়ান অফ- স্পিনার।
ইডেনে সেদিন ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নারিন। স্পিনার সুনীল নারিন সম্পর্কে সাতটি তথ্য-
১) ২৬ মে, ১৯৮৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর স্পিনার সুনীল নারিনের জন্ম হয় ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর অরিমাতে। সাত বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় ক্যারিবিয়ান স্পিনারের।
২) নারিনের বাবা সামান্য ট্যাক্সি চালক ছিলেন। সুনীল গাভাস্কারের বড় ভক্ত ছিলেন নারিনের বাবা শাহিদ। সেই কারণেই ছেলেরও নাম রাখেন সুনীল। ভারতের কিংবদন্তি ওপেনারের এতটাই ভক্ত ছিলেন নারিনের বাবা যে নিজের মেয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলেন গাভাস্কারের নামে। স্ত্রী ক্রিশ্চিনা তা পছন্দ করেননি। সুনীল নারিনের ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা প্রথম লক্ষ্য করেন বাবা শাহিদই। তার হাত ধরেই সুনীল নারিন কুইন্স পাক সাভানায় অনুশীলন করতে আসতেন ছেলেবেলায়।
৩) সুনীল নারিনের বাবা শাহিদ এতটাই গাভাস্কার ভক্ত ছিলেন যে সেই সময়ে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চলাকালীন ক্যারিবিয়ানদের সাপোর্ট না করে ভারতের হয়ে গলা ফাটাতেন শাহিদ।
৪) বার্নার্ড জুলিয়েন, স্যামি গুইলেন ও রোল্যান্ড সম্পৎ আবিষ্কার করেন সুনীল নারিনকে। নারিনের ভিতরে যে প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তা নজর এড়ায়নি এই তিন কোচের।
৫) ২০০৯-এ নজর কাড়েন নারিন। একটি ট্রায়াল ম্যাচে নারিন একাই একটি ইনিংসে দশ উইকেট তুলে নেন। ওই ম্যাচে নারিনের বোলিং ফিগার ছিল ১০-৫৫। সেই ম্যাচের পারফরম্যান্সের জন্যই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো দলে সুযোগ পান নারিন।
৬) একই ওভারে ছ’ রকমের ডেলিভারি করতে পারেন নারিন। ক্যারম বল, নাকল পুশেস এবং স্কিডার্স ক্যারিবিয়ান স্পিনারের আসল অস্ত্র। ব্যাটসম্যানরা নারিনের এই অস্ত্র এখনও বুঝে উঠতে পারেননি।
৭) ২০১৩ সালে নন্দিতা কুমারকে ভারতীয় রীতি মেনে বিয়ে করেন নারিন।
৮) এখন কেকেআর-এর হয়ে ব্যাটিং ওপেন করছেন নারিন। বিগ ব্যাশ খেলার সময়ে মেলবোর্ন রেনিগেডস-এর হয়ে ওপেন করতেন নারিন।