বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

হাসিমুখে কথা বলা নবীর সুন্নত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৮০৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সুন্দরভাবে কথা বলা একটা শিল্প। অনেককে দেখি সম্পদ বলতে কিছু নেই। কিন্তু সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। ইসলাম সুন্দর করে এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, অপরের হক ভালোভাবে আদায় করতে অপারগ হলে অন্তত হাসিমুখে মধুর ভাষায় উত্তম কথা দিয়ে তাকে খুশি রাখ।

ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেছেন, বাক্যালাপ মানুষের জন্য আয়নার মতো কেন না, যখন মানুষ কথা বলতে শুরু করে তার মধ্যকার সুপ্ত বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, ধ্বংস তাদের সব সময় হাতছানি দিতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ভাষা শিক্ষায় মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। ইসলাম তো শুধু আরবদের জন্যই নাজিল হয়নি। রাসূল করিম (স.) বলেছেন, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন বাক্য মমিনের হারানো সম্পদ।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আপনি আপনার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন, আপনি এমন এক পদ্ধতিতে যুক্তিতর্ক করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট (সূরা নাহল আয়াত ১২৫)। এমনও অনেকে আছেন যারা ধর্মের পথে ডাকেন অথবা ভালোকথাই বলেন, কিন্তু মনে হয় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মনে রাখা দরকার জোরে কতা বলার চেয়ে আস্তে এবং সুন্দর করে বলা কথা মানুষের মনে দাগ কাটে, মনে থাকে বেশি।

ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় হজরত মুহাম্মদ (স.)কে বনিসাদ গোত্রে মা হালিমার ঘরে পাঠানোর একটা বড় যুক্তি ছিল। রাসূল যেন সুন্দরভাবে ভাষা শিক্ষা করে আসেন। কারণ বনিসাদের ভাষা তখন খুব শুদ্ধ এবং সুন্দর ছিল। আরও জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ খুব সহি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় নাজিল হয়। তখন আরবে সাতটি আরবি ভাষার প্রচলিত রূপ ছিল। এর মধ্যে যে কুরাইশ গোত্রের ভাষাই পাণ্ডিত্যপূর্ণ, সাবলীল এবং মাধুর্য ছিল। তাই এ ভাষায়ই নাজিল হয় পবিত্র কোরআন। এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ ভাষায় কথা বলা আল্লাহ এবং তার রাসূলের নির্দেশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার

হাসিমুখে কথা বলা নবীর সুন্নত !

আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সুন্দরভাবে কথা বলা একটা শিল্প। অনেককে দেখি সম্পদ বলতে কিছু নেই। কিন্তু সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। ইসলাম সুন্দর করে এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, অপরের হক ভালোভাবে আদায় করতে অপারগ হলে অন্তত হাসিমুখে মধুর ভাষায় উত্তম কথা দিয়ে তাকে খুশি রাখ।

ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেছেন, বাক্যালাপ মানুষের জন্য আয়নার মতো কেন না, যখন মানুষ কথা বলতে শুরু করে তার মধ্যকার সুপ্ত বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, ধ্বংস তাদের সব সময় হাতছানি দিতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ভাষা শিক্ষায় মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। ইসলাম তো শুধু আরবদের জন্যই নাজিল হয়নি। রাসূল করিম (স.) বলেছেন, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন বাক্য মমিনের হারানো সম্পদ।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আপনি আপনার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন, আপনি এমন এক পদ্ধতিতে যুক্তিতর্ক করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট (সূরা নাহল আয়াত ১২৫)। এমনও অনেকে আছেন যারা ধর্মের পথে ডাকেন অথবা ভালোকথাই বলেন, কিন্তু মনে হয় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মনে রাখা দরকার জোরে কতা বলার চেয়ে আস্তে এবং সুন্দর করে বলা কথা মানুষের মনে দাগ কাটে, মনে থাকে বেশি।

ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় হজরত মুহাম্মদ (স.)কে বনিসাদ গোত্রে মা হালিমার ঘরে পাঠানোর একটা বড় যুক্তি ছিল। রাসূল যেন সুন্দরভাবে ভাষা শিক্ষা করে আসেন। কারণ বনিসাদের ভাষা তখন খুব শুদ্ধ এবং সুন্দর ছিল। আরও জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ খুব সহি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় নাজিল হয়। তখন আরবে সাতটি আরবি ভাষার প্রচলিত রূপ ছিল। এর মধ্যে যে কুরাইশ গোত্রের ভাষাই পাণ্ডিত্যপূর্ণ, সাবলীল এবং মাধুর্য ছিল। তাই এ ভাষায়ই নাজিল হয় পবিত্র কোরআন। এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ ভাষায় কথা বলা আল্লাহ এবং তার রাসূলের নির্দেশ।