শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসিমুখে কথা বলা নবীর সুন্নত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সুন্দরভাবে কথা বলা একটা শিল্প। অনেককে দেখি সম্পদ বলতে কিছু নেই। কিন্তু সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। ইসলাম সুন্দর করে এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, অপরের হক ভালোভাবে আদায় করতে অপারগ হলে অন্তত হাসিমুখে মধুর ভাষায় উত্তম কথা দিয়ে তাকে খুশি রাখ।

ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেছেন, বাক্যালাপ মানুষের জন্য আয়নার মতো কেন না, যখন মানুষ কথা বলতে শুরু করে তার মধ্যকার সুপ্ত বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, ধ্বংস তাদের সব সময় হাতছানি দিতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ভাষা শিক্ষায় মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। ইসলাম তো শুধু আরবদের জন্যই নাজিল হয়নি। রাসূল করিম (স.) বলেছেন, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন বাক্য মমিনের হারানো সম্পদ।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আপনি আপনার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন, আপনি এমন এক পদ্ধতিতে যুক্তিতর্ক করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট (সূরা নাহল আয়াত ১২৫)। এমনও অনেকে আছেন যারা ধর্মের পথে ডাকেন অথবা ভালোকথাই বলেন, কিন্তু মনে হয় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মনে রাখা দরকার জোরে কতা বলার চেয়ে আস্তে এবং সুন্দর করে বলা কথা মানুষের মনে দাগ কাটে, মনে থাকে বেশি।

ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় হজরত মুহাম্মদ (স.)কে বনিসাদ গোত্রে মা হালিমার ঘরে পাঠানোর একটা বড় যুক্তি ছিল। রাসূল যেন সুন্দরভাবে ভাষা শিক্ষা করে আসেন। কারণ বনিসাদের ভাষা তখন খুব শুদ্ধ এবং সুন্দর ছিল। আরও জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ খুব সহি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় নাজিল হয়। তখন আরবে সাতটি আরবি ভাষার প্রচলিত রূপ ছিল। এর মধ্যে যে কুরাইশ গোত্রের ভাষাই পাণ্ডিত্যপূর্ণ, সাবলীল এবং মাধুর্য ছিল। তাই এ ভাষায়ই নাজিল হয় পবিত্র কোরআন। এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ ভাষায় কথা বলা আল্লাহ এবং তার রাসূলের নির্দেশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

হাসিমুখে কথা বলা নবীর সুন্নত !

আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সুন্দরভাবে কথা বলা একটা শিল্প। অনেককে দেখি সম্পদ বলতে কিছু নেই। কিন্তু সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। ইসলাম সুন্দর করে এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, অপরের হক ভালোভাবে আদায় করতে অপারগ হলে অন্তত হাসিমুখে মধুর ভাষায় উত্তম কথা দিয়ে তাকে খুশি রাখ।

ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেছেন, বাক্যালাপ মানুষের জন্য আয়নার মতো কেন না, যখন মানুষ কথা বলতে শুরু করে তার মধ্যকার সুপ্ত বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, ধ্বংস তাদের সব সময় হাতছানি দিতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ভাষা শিক্ষায় মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। ইসলাম তো শুধু আরবদের জন্যই নাজিল হয়নি। রাসূল করিম (স.) বলেছেন, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন বাক্য মমিনের হারানো সম্পদ।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আপনি আপনার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন, আপনি এমন এক পদ্ধতিতে যুক্তিতর্ক করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট (সূরা নাহল আয়াত ১২৫)। এমনও অনেকে আছেন যারা ধর্মের পথে ডাকেন অথবা ভালোকথাই বলেন, কিন্তু মনে হয় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মনে রাখা দরকার জোরে কতা বলার চেয়ে আস্তে এবং সুন্দর করে বলা কথা মানুষের মনে দাগ কাটে, মনে থাকে বেশি।

ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় হজরত মুহাম্মদ (স.)কে বনিসাদ গোত্রে মা হালিমার ঘরে পাঠানোর একটা বড় যুক্তি ছিল। রাসূল যেন সুন্দরভাবে ভাষা শিক্ষা করে আসেন। কারণ বনিসাদের ভাষা তখন খুব শুদ্ধ এবং সুন্দর ছিল। আরও জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ খুব সহি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় নাজিল হয়। তখন আরবে সাতটি আরবি ভাষার প্রচলিত রূপ ছিল। এর মধ্যে যে কুরাইশ গোত্রের ভাষাই পাণ্ডিত্যপূর্ণ, সাবলীল এবং মাধুর্য ছিল। তাই এ ভাষায়ই নাজিল হয় পবিত্র কোরআন। এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ ভাষায় কথা বলা আল্লাহ এবং তার রাসূলের নির্দেশ।