বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মাহাত্ম্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মহান রাব্বুল আল-আমিনের ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে, যেগুলো স্রষ্টার গুণসমূহকে প্রকাশ করে। আল্লাহর কাছে তার গুণবাচক নামসমূহের মাধ্যমে প্রার্থনা ও যিকির করলে আল্লাহ খুশি হন।

এ প্রসঙ্গে আল- কুরআনের সূরা আরাফের ১৮০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শিগগিরই পাবে। ’

উত্তম নাম বলতে সে সকল নামকে বোঝানো হয়েছে, যা গুণ-বৈশিষ্ট্যের পরিপূর্ণতায় সর্বোচ্চ স্তরকে চিহ্নিত করে। তার গুণবাচক নামকে বলা হয়, আসমাউল হুসনা। উপরোক্ত আয়াতেও ‘আসমাউল হুসনা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার দ্বারা বোঝা যায় যে, এসব আসমাউল হুসনা বা উত্তম নামসমূহ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্য লাভ করা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

আয়াতের মর্ম কথা হলো, হামদ, সানা, গুণ ও প্রশংসাকীর্তন, তাসবীহ-তাহলীলের যোগ্য যেহেতু শুধুমাত্র আল্লাহ-ই এবং বিপদাপদে মুক্তি দান আর প্রয়োজন মেটানোও শুধু তাঁর-ই ক্ষমতায়। কাজেই যদি প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করতে হয়, তবে তাঁরই করবে আর নিজের প্রয়োজন বা উদ্দেশ্য সিদ্ধি কিংবা বিপদমুক্তির জন্য ডাকতে হলে শুধু তাঁকেই ডাকবে, তাঁরই কাছে সাহায্য চাইবে। আর ডাকার পদ্ধতিও বলে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁর জন্য নির্ধারিত ‘আসমায়ে হুসনা’ বা উত্তম নামে -ই ডাকবে।

এ আয়াতের মাধ্যমে গোটা মুসলিম জাতিকে দুটি হিদায়াত বা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রথমত : আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্তাই প্রকৃত হামদ-সানা বা বিপদমুক্তি বা উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য ডাকার যোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত : তাঁকে ডাকার জন্য মানুষ এমন মুক্ত নয় যে, যেকোনো শব্দে ইচ্ছা ডাকতে থাকবে, বরং আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহপরবশ হয়ে আমাদিগকে সেসব শব্দ সমষ্টি শিখিয়ে দিয়েছেন যা তাঁর মহত্ব ও মর্যাদার উপযোগী। সেই সাথে এ সমস্ত শব্দেই তাঁকে ডাকার জন্য আমাদিগকে বাধ্য করে দিয়েছেন যাতে আমরা নিজের মত শব্দ পরিবর্তন না করি। কারণ, আল্লাহর গুণ বৈশিষ্ট্যের সব দিক লক্ষ্য রেখে তাঁর মহত্বের উপযোগী শব্দ চয়ন করতে পারা মানুষের সাধ্যের ঊর্ধ্বে। (মায়ারেফুল কুরআন )

ইমাম বোখারি ও মুসলিম, হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসুলে করীম সা. এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এগুলোকে আয়ত্ত করে নেবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (বোখারী ২৭৩৬, মুসলিম ২৬৭৭)।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার

আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মাহাত্ম্য !

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মহান রাব্বুল আল-আমিনের ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে, যেগুলো স্রষ্টার গুণসমূহকে প্রকাশ করে। আল্লাহর কাছে তার গুণবাচক নামসমূহের মাধ্যমে প্রার্থনা ও যিকির করলে আল্লাহ খুশি হন।

এ প্রসঙ্গে আল- কুরআনের সূরা আরাফের ১৮০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শিগগিরই পাবে। ’

উত্তম নাম বলতে সে সকল নামকে বোঝানো হয়েছে, যা গুণ-বৈশিষ্ট্যের পরিপূর্ণতায় সর্বোচ্চ স্তরকে চিহ্নিত করে। তার গুণবাচক নামকে বলা হয়, আসমাউল হুসনা। উপরোক্ত আয়াতেও ‘আসমাউল হুসনা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার দ্বারা বোঝা যায় যে, এসব আসমাউল হুসনা বা উত্তম নামসমূহ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্য লাভ করা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

আয়াতের মর্ম কথা হলো, হামদ, সানা, গুণ ও প্রশংসাকীর্তন, তাসবীহ-তাহলীলের যোগ্য যেহেতু শুধুমাত্র আল্লাহ-ই এবং বিপদাপদে মুক্তি দান আর প্রয়োজন মেটানোও শুধু তাঁর-ই ক্ষমতায়। কাজেই যদি প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করতে হয়, তবে তাঁরই করবে আর নিজের প্রয়োজন বা উদ্দেশ্য সিদ্ধি কিংবা বিপদমুক্তির জন্য ডাকতে হলে শুধু তাঁকেই ডাকবে, তাঁরই কাছে সাহায্য চাইবে। আর ডাকার পদ্ধতিও বলে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁর জন্য নির্ধারিত ‘আসমায়ে হুসনা’ বা উত্তম নামে -ই ডাকবে।

এ আয়াতের মাধ্যমে গোটা মুসলিম জাতিকে দুটি হিদায়াত বা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রথমত : আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্তাই প্রকৃত হামদ-সানা বা বিপদমুক্তি বা উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য ডাকার যোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত : তাঁকে ডাকার জন্য মানুষ এমন মুক্ত নয় যে, যেকোনো শব্দে ইচ্ছা ডাকতে থাকবে, বরং আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহপরবশ হয়ে আমাদিগকে সেসব শব্দ সমষ্টি শিখিয়ে দিয়েছেন যা তাঁর মহত্ব ও মর্যাদার উপযোগী। সেই সাথে এ সমস্ত শব্দেই তাঁকে ডাকার জন্য আমাদিগকে বাধ্য করে দিয়েছেন যাতে আমরা নিজের মত শব্দ পরিবর্তন না করি। কারণ, আল্লাহর গুণ বৈশিষ্ট্যের সব দিক লক্ষ্য রেখে তাঁর মহত্বের উপযোগী শব্দ চয়ন করতে পারা মানুষের সাধ্যের ঊর্ধ্বে। (মায়ারেফুল কুরআন )

ইমাম বোখারি ও মুসলিম, হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে রেওয়ায়েত করেছেন যে, রাসুলে করীম সা. এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এগুলোকে আয়ত্ত করে নেবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (বোখারী ২৭৩৬, মুসলিম ২৬৭৭)।