শিরোনাম :
Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন Logo বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ মিউজিয়াম গেইট ও চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন Logo ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় আহত ১৬ Logo কিশোর অপরাধ দমনে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান কিশোর অপরাধের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করতে পারেন কেবল ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ………….মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চাঁদপুর-২ আসনে)” এমপি প্রার্থী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী Logo রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে যুবক নিহত Logo মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ রাজশাহীতে ২০ জন আটক Logo কয়রায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo রাকসুর তফসিল আদায়ে দ্রুত মাঠে নামার ঘোষণা রাবি ছাত্রশিবির সভাপতির Logo ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়া অনুসরণ করলে তাদের এ দুর্দশা হতো না

বড় প্লেনে থাকে গোপন কক্ষ, কেন জানেন?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যেক বড় প্লেনে থাকে একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে থাকে আরামদায়ক বিছানা, থাকে টয়লেট, টেলিভিশনসহ বিলাসবহুল বন্দোবস্ত।  কোন কোন প্লেনে আবার একাধিক গুপ্ত কক্ষও থাকে। সাধারণ যাত্রীরা এসব কক্ষের খোঁজও জানেন না। কেন থাকে? কার জন্য বিমানের মধ্যে এ বিলাসবহুল ব্যবস্থা?  একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বড় প্লেনগুলিতে প্লেনের ক্রুদের বিশ্রামের জন্য থাকে এই বিশেষ গুপ্ত কক্ষ। গুপ্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পৌঁছাতে হয় সেই ঘরে। এক এক প্লেনে এক এক জায়গায় তৈরি করা হয় এই ঘর। তবে অধিকাংশ প্লেনেরই উপরের অংশে যেভাবে লাগেজ বিন তৈরি করা হয়, সেই কায়দাতেই তৈরি হয় এই গোপন বিশ্রামকক্ষ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ প্লেনে বিমান-কর্মীদের বিশ্রামের জন্য রীতিমতো বিলাসবহুল বন্দোবস্ত থাকে। তৈরি করা হয় একটি গোপন বিশ্রামাগার। কী থাকে এই সিআরসি’র ভিতরে? সাধারণত ভাবে বোয়িং ৭৭৭-এর সিআরসিতে থাকে ছয় থেকে ১০টি বিছানা। বিছানাগুলিতে লাগানো থাকে বেল্ট। ঝড়ঝঞ্ঝার সময়ে বিশ্রামরত বিমানকর্মীরা বিছানা থেকে যাতে পড়ে না যান, তার জন্যই করা হয় এই বন্দোবস্ত। বিছানার সঙ্গেই থাকে লাগেজ রাখার জায়গাও। এছাড়া কোনও কোনও প্লেনে আবার টিভির ব্যবস্থাও থাকে।

বিমানের পরিভাষায় একে বলা হয় সিআরসি বা ক্রু রেস্ট কম্পার্টমেন্টস। এক এক প্লেনে সিআরসি-র আয়তন হয় এক এক রকম। তবে ককপিট, এবং ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের মাথার উপরেই সাধারণত এই সিআরসি গড়ে তোলা হয়।

বোয়িং ৭৭৭-এ আবার পাইলটের জন্য একটি আলাদা ঘর রেখে দেওয়া হয়। এই ঘরে দু’টি বিছানা থাকে, থাকে দু’টি বিজনেস সিট। কোনও কোনও প্লেনে সেই সঙ্গে একটি টয়লেটও রেখে দেওয়া হয়।

দীর্ঘক্ষণের উড়়ানে কাজ করতে করতে বিমানকর্মীরা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন, এবং প্রয়োজন মতো রিল্যাক্স করে নিতে পারেন,  সেই জন্যই এত সব ব্যবস্থা।

কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক পাইলট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিআরসিতে বিশ্রাম নেওয়ার অভিজ্ঞতা নাকি মোটেই সুখকর নয়। তার বক্তব্য, ‘বিছানা-টিছানা খুব নরম আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু ঘরগুলোতে কোনও জানালা থাকে না। একেবারে জানালাহীন একটা ঘরে শুয়ে থাকতে কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক মনে হয়, একটি কফিনের ভিতরে শুয়ে রয়েছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে শোক দিবস পালন

বড় প্লেনে থাকে গোপন কক্ষ, কেন জানেন?

আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যেক বড় প্লেনে থাকে একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে থাকে আরামদায়ক বিছানা, থাকে টয়লেট, টেলিভিশনসহ বিলাসবহুল বন্দোবস্ত।  কোন কোন প্লেনে আবার একাধিক গুপ্ত কক্ষও থাকে। সাধারণ যাত্রীরা এসব কক্ষের খোঁজও জানেন না। কেন থাকে? কার জন্য বিমানের মধ্যে এ বিলাসবহুল ব্যবস্থা?  একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বড় প্লেনগুলিতে প্লেনের ক্রুদের বিশ্রামের জন্য থাকে এই বিশেষ গুপ্ত কক্ষ। গুপ্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পৌঁছাতে হয় সেই ঘরে। এক এক প্লেনে এক এক জায়গায় তৈরি করা হয় এই ঘর। তবে অধিকাংশ প্লেনেরই উপরের অংশে যেভাবে লাগেজ বিন তৈরি করা হয়, সেই কায়দাতেই তৈরি হয় এই গোপন বিশ্রামকক্ষ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ প্লেনে বিমান-কর্মীদের বিশ্রামের জন্য রীতিমতো বিলাসবহুল বন্দোবস্ত থাকে। তৈরি করা হয় একটি গোপন বিশ্রামাগার। কী থাকে এই সিআরসি’র ভিতরে? সাধারণত ভাবে বোয়িং ৭৭৭-এর সিআরসিতে থাকে ছয় থেকে ১০টি বিছানা। বিছানাগুলিতে লাগানো থাকে বেল্ট। ঝড়ঝঞ্ঝার সময়ে বিশ্রামরত বিমানকর্মীরা বিছানা থেকে যাতে পড়ে না যান, তার জন্যই করা হয় এই বন্দোবস্ত। বিছানার সঙ্গেই থাকে লাগেজ রাখার জায়গাও। এছাড়া কোনও কোনও প্লেনে আবার টিভির ব্যবস্থাও থাকে।

বিমানের পরিভাষায় একে বলা হয় সিআরসি বা ক্রু রেস্ট কম্পার্টমেন্টস। এক এক প্লেনে সিআরসি-র আয়তন হয় এক এক রকম। তবে ককপিট, এবং ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের মাথার উপরেই সাধারণত এই সিআরসি গড়ে তোলা হয়।

বোয়িং ৭৭৭-এ আবার পাইলটের জন্য একটি আলাদা ঘর রেখে দেওয়া হয়। এই ঘরে দু’টি বিছানা থাকে, থাকে দু’টি বিজনেস সিট। কোনও কোনও প্লেনে সেই সঙ্গে একটি টয়লেটও রেখে দেওয়া হয়।

দীর্ঘক্ষণের উড়়ানে কাজ করতে করতে বিমানকর্মীরা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন, এবং প্রয়োজন মতো রিল্যাক্স করে নিতে পারেন,  সেই জন্যই এত সব ব্যবস্থা।

কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক পাইলট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিআরসিতে বিশ্রাম নেওয়ার অভিজ্ঞতা নাকি মোটেই সুখকর নয়। তার বক্তব্য, ‘বিছানা-টিছানা খুব নরম আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু ঘরগুলোতে কোনও জানালা থাকে না। একেবারে জানালাহীন একটা ঘরে শুয়ে থাকতে কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক মনে হয়, একটি কফিনের ভিতরে শুয়ে রয়েছি।