শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮২৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।