শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।