শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল!

আপডেট সময় : ১২:৩৭:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনা মামলার আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আজ সকালে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) তদন্ত করে এ অভিযোগপত্র জমা দিল। গত বছরের পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পুলিশ শাহবাগ থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পেরে শাহবাগ থানার পুলিশ গত ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার এক মাস পর ডিবি এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরান ঢাকার নিজ বাসার সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত যে আটজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করে, কামাল তাঁদের একজন বলে ডিবি জানায়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ আটজনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। এর একটি ছবির সঙ্গে কামালের চেহারায় মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় কোনো আসামিকে খুঁজে না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। আরো বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আট যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন  কতিপয় ব্যক্তি নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।