সোমবার | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, শেখ হাসিনা ড্রোন, হেলকপ্টার এবং প্রা্ণঘাতী অস্ত্র ব্যহারের নির্দেশ দিয়ে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ পালন করেছেন। শেখ হাসিনা তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন।

তারা যেসব অপরাধ করেছেন, তা সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পড়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

রায়ের শেষ অংশ পড়া শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল, যেখানে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে–বিপক্ষের যুক্তিতর্কের বিবরণ চলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারকাজ চলার সময় অডিও, ভিডিওসহ যেসব তথ্যউপাত্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে সেসবও বর্ণনা করেন বিচারক।

ঘটনার শিকার ও সাক্ষীরা কী বলেছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন ভিডিওতে পাওয়া শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য–প্রমাণের বিবরণ দেওয়া হয়।

এছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যেভাবে প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়েছে, সেগুলোর ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণের বিবরণ দেওয়া হয়।

এর আগে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ পড়ে শোনায় ট্রাইব্যুনাল।

গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন জনের সঙ্গে শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনগুলো শোনানো হয়। এর মধ্যে ছিল ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের সাথে ফোনালাপ।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ের ছয়টি অংশ রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ জন্ম নিবন্ধনের অভিযোগ প্রমানিত ,ডিসির কারণ দর্শানোর নোটিশ। 

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল বলেছে, শেখ হাসিনা ড্রোন, হেলকপ্টার এবং প্রা্ণঘাতী অস্ত্র ব্যহারের নির্দেশ দিয়ে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ পালন করেছেন। শেখ হাসিনা তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন।

তারা যেসব অপরাধ করেছেন, তা সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পড়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

রায়ের শেষ অংশ পড়া শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল, যেখানে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে–বিপক্ষের যুক্তিতর্কের বিবরণ চলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারকাজ চলার সময় অডিও, ভিডিওসহ যেসব তথ্যউপাত্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে সেসবও বর্ণনা করেন বিচারক।

ঘটনার শিকার ও সাক্ষীরা কী বলেছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন ভিডিওতে পাওয়া শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য–প্রমাণের বিবরণ দেওয়া হয়।

এছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যেভাবে প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়েছে, সেগুলোর ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণের বিবরণ দেওয়া হয়।

এর আগে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ পড়ে শোনায় ট্রাইব্যুনাল।

গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন জনের সঙ্গে শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনগুলো শোনানো হয়। এর মধ্যে ছিল ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের সাথে ফোনালাপ।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ের ছয়টি অংশ রয়েছে।