শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

সবজি চাষে বাম্পার ফলন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জে এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই সবজি চাষাবাদে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে অনেক কৃষকের। সবজির বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে।

তবে জেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষাবাদ বেশি হয়েছে।

এসব সবজি চাষাবাদের মধ্যে রয়েছে, শীতকালীন সবজিসহ বারোমাসি হাইব্রিড বেগুন, ঢেড়শ, পুঁইশাক, পটল, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজরসহ অনান্য শাকসবজি।

এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের সবজি চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে।

এ চাষাবাদে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪) ও তার স্ত্রী রিমি (২৫) বাড়ির আঙ্গিনায় ৫০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ করেছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে কুমড়া, পুঁইশাক, ঝিঙ্গা ও বেগুন। এ চাষাবাদে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর এসব সবজি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা এবং সবজি বাগান থেকে আরো ২/৩ মাস সবজি বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষাবাদে স্বচ্ছলতা ফিরে আসায় এ দম্পত্তির মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের দুটি সন্তান এখন স্কুলে লেখাপড়া করছে।

কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সবজি চাষে পরিবারের সবাই এখন ভালো আছি এবং আমাদের স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। গ্রামের অনেকেই এসব বারোমাসি সবজি চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা এসব লাভজনক সবজি চাষাবাদ বেশি করছে।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, শীতকালিন ও বারোমাসি হাইব্রিড এসব সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতা ও পরামর্শ নিয়ে এ চাষাবাদ করছে অনেকে।

বাড়ির আঙ্গিনা ও জমিতে এসব সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং কৃষক কৃষাণীরা এসব সবজির বাগান পরিচর্যা করছে।

বর্তমানে হাটবাজারে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং অনান্য সবজিও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবার শীতকালীন বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

সবজি চাষে বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ০৮:২০:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জে এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই সবজি চাষাবাদে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে অনেক কৃষকের। সবজির বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে।

তবে জেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষাবাদ বেশি হয়েছে।

এসব সবজি চাষাবাদের মধ্যে রয়েছে, শীতকালীন সবজিসহ বারোমাসি হাইব্রিড বেগুন, ঢেড়শ, পুঁইশাক, পটল, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজরসহ অনান্য শাকসবজি।

এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের সবজি চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে।

এ চাষাবাদে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪) ও তার স্ত্রী রিমি (২৫) বাড়ির আঙ্গিনায় ৫০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ করেছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে কুমড়া, পুঁইশাক, ঝিঙ্গা ও বেগুন। এ চাষাবাদে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর এসব সবজি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা এবং সবজি বাগান থেকে আরো ২/৩ মাস সবজি বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষাবাদে স্বচ্ছলতা ফিরে আসায় এ দম্পত্তির মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের দুটি সন্তান এখন স্কুলে লেখাপড়া করছে।

কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক এ প্রতিবেদককে বলেন, এ সবজি চাষে পরিবারের সবাই এখন ভালো আছি এবং আমাদের স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। গ্রামের অনেকেই এসব বারোমাসি সবজি চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা এসব লাভজনক সবজি চাষাবাদ বেশি করছে।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, শীতকালিন ও বারোমাসি হাইব্রিড এসব সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতা ও পরামর্শ নিয়ে এ চাষাবাদ করছে অনেকে।

বাড়ির আঙ্গিনা ও জমিতে এসব সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং কৃষক কৃষাণীরা এসব সবজির বাগান পরিচর্যা করছে।

বর্তমানে হাটবাজারে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং অনান্য সবজিও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবার শীতকালীন বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।