শিরোনাম :
Logo বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল Logo পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল ইরান Logo প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার : তৌহিদ হোসেন Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শন Logo গুলি চালাল ইরানের বাহিনী নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর Logo খুবিতে এইচআরএসএস এর উদ্যোগে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা সভা Logo ‘নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নামছে’ Logo চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে ১২ দোকানির জরিমানা Logo ৬ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ইবি উপাচার্য Logo খুবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’ বিষয়ক  জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৭১৪ বার পড়া হয়েছে

জেলার মান্দা উপজেলার আত্রাই ও শিব নদ, বিলহিলনা, বিলমান্দা এবং আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিংজাল, ঘেরজাল, কচাল ও ঘূর্ণিজাল। এসব জালে প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পুঁটি, শিং, কৈ, চিংড়ি ও গুঁচিসহ নানা প্রজাতির দেশিয় মাছের পোনা।

এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন কমছে, তেমনি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে বহু দেশিয় প্রজাতি মাছের ভাণ্ডার। এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে পাতাশি, বাঁশপাতাড়ি, ইটা, গাগর, কালাবাউস, দারিসহ কিছু দুর্লভ প্রজাতি মাছ। আত্রাই নদীতে এখন টেংরা মাছ আর তেমন দেখা যায় না।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, পোনা মাছ নিধন ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোসহ নিষিদ্ধ জালের বিক্রি বন্ধ এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে একদিন হয়তো দেশিয় প্রজাতির মাছ থাকবে কেবল স্মৃতিতে।

উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। বর্ষা এলেই শুরু হয় পোনা মাছ নিধন। কারেন্ট, রিংজাল, কচালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে শিকারিরা। মৎস্য অফিসের তেমন কোনো তদারকি নেই। দিন দিন কমে যাচ্ছে মাছ।
একই অভিযোগ করেন গোপালপুর বাজারের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহীদ। তিনি বলেন, বিলমান্দা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দেশিয় মাছের পোনা ধরে গোপালপুরসহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মা মাছও ধরা হচ্ছে এসব জালে। এভাবে চললে আগামিতে দেশিয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পারিলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন বিলহিলনা থেকে ধরা হয় প্রচুর পরিমাণে দেশিয় জাতের পোনামাছ। এসব মাছ পারিলাডাঙ্গা আড়তে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলে। পরে এখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায়।

মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর পাল বলেন, আগামী সপ্তাহে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। এরপরও যদি কেউ নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল

নওগাঁয় নিষিদ্ধ জালে নিধন হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

জেলার মান্দা উপজেলার আত্রাই ও শিব নদ, বিলহিলনা, বিলমান্দা এবং আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিংজাল, ঘেরজাল, কচাল ও ঘূর্ণিজাল। এসব জালে প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পুঁটি, শিং, কৈ, চিংড়ি ও গুঁচিসহ নানা প্রজাতির দেশিয় মাছের পোনা।

এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন কমছে, তেমনি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে বহু দেশিয় প্রজাতি মাছের ভাণ্ডার। এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে পাতাশি, বাঁশপাতাড়ি, ইটা, গাগর, কালাবাউস, দারিসহ কিছু দুর্লভ প্রজাতি মাছ। আত্রাই নদীতে এখন টেংরা মাছ আর তেমন দেখা যায় না।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, পোনা মাছ নিধন ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোসহ নিষিদ্ধ জালের বিক্রি বন্ধ এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে একদিন হয়তো দেশিয় প্রজাতির মাছ থাকবে কেবল স্মৃতিতে।

উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। বর্ষা এলেই শুরু হয় পোনা মাছ নিধন। কারেন্ট, রিংজাল, কচালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে শিকারিরা। মৎস্য অফিসের তেমন কোনো তদারকি নেই। দিন দিন কমে যাচ্ছে মাছ।
একই অভিযোগ করেন গোপালপুর বাজারের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহীদ। তিনি বলেন, বিলমান্দা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দেশিয় মাছের পোনা ধরে গোপালপুরসহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মা মাছও ধরা হচ্ছে এসব জালে। এভাবে চললে আগামিতে দেশিয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পারিলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন বিলহিলনা থেকে ধরা হয় প্রচুর পরিমাণে দেশিয় জাতের পোনামাছ। এসব মাছ পারিলাডাঙ্গা আড়তে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলে। পরে এখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায়।

মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর পাল বলেন, আগামী সপ্তাহে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। এরপরও যদি কেউ নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।