শিরোনাম :
Logo বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত Logo জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে ধানমন্ডি থানা যুবদল Logo চুয়াডাঙ্গায় দ্রুতগতির আলমসাধুর ধাক্কায় প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির Logo বোদা গরুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo বিএনসিসি স্কোয়াড্রনে সিইউও পদে পদোন্নতি পেলেন রাবির নাছিম উদ্দিন Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখা Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান Logo নির্বাচন নিয়ে একটি মহল জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: মির্জা আব্বাস

কোরবানির কতদিন আগে চুল-নখ কাটতে হয়?

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ৭১৫ বার পড়া হয়েছে

মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানি সামনে রেখে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনে—কোরবানির আগে কি চুল ও নখ কাটা যাবে? ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী, যারা কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিধান।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস অনুযায়ী, জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মধ্যে কোরবানির নিয়ত করা ব্যক্তি চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকবেন।

সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন জিলহজ মাসের দশদিন শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করতে চায়, তখন সে যেন তার চুল ও শরীরের কোনো অংশ না কাটে।’ (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৭৭)

এই নির্দেশনাটি মূলত কোরবানি করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক ধরনের প্রস্তুতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক।

কারা নিয়মে পড়বেন?

বিশেষজ্ঞ আলেমরা জানান, কেবল সেই ব্যক্তি, যিনি নিজে কোরবানি দিচ্ছেন বা যার পক্ষ থেকে কোরবানি হচ্ছে—এই নিয়ম তার জন্য প্রযোজ্য। পরিবারে অন্য কেউ যদি কোরবানি না দেন, তবে তার চুল-নখ কাটায় কোনো বাধা নেই।

কবে থেকে এই নিয়ম মানতে হবে?

এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় ১ জিলহজ থেকে, অর্থাৎ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ১০ দিন আগে থেকে। এটি চলবে কোরবানি দেয়ার আগ পর্যন্ত। অর্থাৎ, পশু জবাইয়ের পর আবার চুল-নখ কাটতে কোনো বাধা নেই।

ইসলামী দৃষ্টিকোণে এর তাৎপর্য

ইসলামিক গবেষকগণ বলেন, এই আমল কোরবানির অনুভূতির গভীরতাকে প্রতিফলিত করে। যেহেতু হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাই এই সময়কালটি আত্মসংযম, আত্মত্যাগ ও ইবাদতের বিশেষ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।

কোরবানি শুধু একটি পশু জবাই নয়, বরং এটি আত্মত্যাগ, সংযম ও আল্লাহর নির্দেশের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। চুল ও নখ না কাটা এই শিক্ষা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি প্রতীকী চর্চা, যা আমাদেরকে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

কোরবানির কতদিন আগে চুল-নখ কাটতে হয়?

আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানি সামনে রেখে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনে—কোরবানির আগে কি চুল ও নখ কাটা যাবে? ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী, যারা কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিধান।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস অনুযায়ী, জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের মধ্যে কোরবানির নিয়ত করা ব্যক্তি চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকবেন।

সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন জিলহজ মাসের দশদিন শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করতে চায়, তখন সে যেন তার চুল ও শরীরের কোনো অংশ না কাটে।’ (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৭৭)

এই নির্দেশনাটি মূলত কোরবানি করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক ধরনের প্রস্তুতি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক।

কারা নিয়মে পড়বেন?

বিশেষজ্ঞ আলেমরা জানান, কেবল সেই ব্যক্তি, যিনি নিজে কোরবানি দিচ্ছেন বা যার পক্ষ থেকে কোরবানি হচ্ছে—এই নিয়ম তার জন্য প্রযোজ্য। পরিবারে অন্য কেউ যদি কোরবানি না দেন, তবে তার চুল-নখ কাটায় কোনো বাধা নেই।

কবে থেকে এই নিয়ম মানতে হবে?

এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় ১ জিলহজ থেকে, অর্থাৎ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ১০ দিন আগে থেকে। এটি চলবে কোরবানি দেয়ার আগ পর্যন্ত। অর্থাৎ, পশু জবাইয়ের পর আবার চুল-নখ কাটতে কোনো বাধা নেই।

ইসলামী দৃষ্টিকোণে এর তাৎপর্য

ইসলামিক গবেষকগণ বলেন, এই আমল কোরবানির অনুভূতির গভীরতাকে প্রতিফলিত করে। যেহেতু হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাই এই সময়কালটি আত্মসংযম, আত্মত্যাগ ও ইবাদতের বিশেষ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।

কোরবানি শুধু একটি পশু জবাই নয়, বরং এটি আত্মত্যাগ, সংযম ও আল্লাহর নির্দেশের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। চুল ও নখ না কাটা এই শিক্ষা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি প্রতীকী চর্চা, যা আমাদেরকে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়।