শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?