শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?