আপডেট সময় :
১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
৭৫৭
বার পড়া হয়েছে
রমজান মাসজুড়ে সিয়াম সাধনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এসেছে প্রথম জুমা। বিশেষ দিনের একটি বিশেষত্ব হলো এই দিনে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে যে কোনো দোয়া কবুল হয়।
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,
জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, কোনো মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র কাছে কিছু চায়, তা হলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করেন। (সহিহ বুখারি: ৯৩৫)
জুমার দিন বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত জুমার খুতবা শুরু হওয়ার পর থেকে জুমার নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দোয়া কবুলের সময়; এ সময় দোয়ায় নিমগ্ন থাকা উচিত।
আল্লাহর শেখানো যে ৪টি দোয়া জুমার দিন পাঠ করতে পারেন:
১. কোরআনে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করতে শিখিয়েছেন
হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
৩. জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা এবং উত্তম অবস্থায় ওফাত চেয়ে আল্লাহ আমাদের দোয়া করতে শিখিয়েছেন,
হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দো‘আ কবুল করুন। হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। (সুরা ইবরাহিম: ৪০, ৪১)
জুমার দিন আল্লাহর শেখানো বরকতময় এ ৪টি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করুন। হতে পারে হাদিসে বর্ণিত দোয়া কবুলের ওই বিশেষ সময়ে আপনার দোয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছবে এবং তিনি কবুল করে নেবেন।