শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনি। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনি কী? মহিমান্বিত রজনি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সূরা কদর ২-৩)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি ২০১৭)

শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদর আল্লাহর দেয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকির বেশি বেশি করা উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম।

শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সুরা পড়া বাধ্যতামূলকও নেই।

শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নফল নামাজের নিয়তে দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। নিয়ত এভাবে করবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো সুরা মিলিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের পর জিকির করবেন। আল্লাহু আল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ জিকিরগুলো এক শত বার করে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে ইস্তিগফার পড়ে দোয়া করবেন দু’হাত উঠিয়ে। জীবনের সব গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রসুল সা. এর শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন।

শবে কদরের দোয়া
মাহে রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাত শবে কদর হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত।  এ রাতে পাঠ করার জন্য হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনি। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনি কী? মহিমান্বিত রজনি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সূরা কদর ২-৩)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি ২০১৭)

শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদর আল্লাহর দেয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকির বেশি বেশি করা উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম।

শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সুরা পড়া বাধ্যতামূলকও নেই।

শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নফল নামাজের নিয়তে দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। নিয়ত এভাবে করবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো সুরা মিলিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের পর জিকির করবেন। আল্লাহু আল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ জিকিরগুলো এক শত বার করে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে ইস্তিগফার পড়ে দোয়া করবেন দু’হাত উঠিয়ে। জীবনের সব গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রসুল সা. এর শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন।

শবে কদরের দোয়া
মাহে রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাত শবে কদর হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত।  এ রাতে পাঠ করার জন্য হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)