শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনি। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনি কী? মহিমান্বিত রজনি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সূরা কদর ২-৩)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি ২০১৭)

শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদর আল্লাহর দেয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকির বেশি বেশি করা উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম।

শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সুরা পড়া বাধ্যতামূলকও নেই।

শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নফল নামাজের নিয়তে দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। নিয়ত এভাবে করবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো সুরা মিলিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের পর জিকির করবেন। আল্লাহু আল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ জিকিরগুলো এক শত বার করে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে ইস্তিগফার পড়ে দোয়া করবেন দু’হাত উঠিয়ে। জীবনের সব গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রসুল সা. এর শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন।

শবে কদরের দোয়া
মাহে রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাত শবে কদর হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত।  এ রাতে পাঠ করার জন্য হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনি। পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনি কী? মহিমান্বিত রজনি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সূরা কদর ২-৩)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি ২০১৭)

শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদর আল্লাহর দেয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকির বেশি বেশি করা উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম।

শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সুরা পড়া বাধ্যতামূলকও নেই।

শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নফল নামাজের নিয়তে দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। নিয়ত এভাবে করবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো সুরা মিলিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের পর জিকির করবেন। আল্লাহু আল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ জিকিরগুলো এক শত বার করে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে ইস্তিগফার পড়ে দোয়া করবেন দু’হাত উঠিয়ে। জীবনের সব গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রসুল সা. এর শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন।

শবে কদরের দোয়া
মাহে রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাত শবে কদর হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত।  এ রাতে পাঠ করার জন্য হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)