‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু’, সিলেটে হামজা

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরী এখন দেশের ফুটবলের নতুন তারকা। প্রবাসী এ ফুটবলারকে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়। তিনি আসবেন, খেলবেন, জয় করবেন। লাল-সবুজের ভক্তদের একটা বড় অংশের প্রত্যাশা অনেকটা এমনই। হয়তো হামজা নিজেও মুখিয়ে আছেন নতুন পরিচয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর জন্য। সে আশা রেখেই দেশে পা রেখেছেন হামজা।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। যেখানে জবাব দিলেন সিলেটি ভাষায়। শুরুতে ইংরেজিতে জবাব দিলেও পরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা বাংলায় তার থেকে জবাব শুনতে চান। তবে বাংলা না জানা হামজা জবাব ঠিকই দেন সিলেটি ভাষায়।

প্রথমে ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। অসাধারণ লাগছে। আশা করি আমরা দুটি ম্যাচই জিতব। এবং খুব দ্রুতই আমরা উন্নতি করব।

তারপর সাংবাদিকেরা বাংলায় শুনতে চাইলে সিলেটতে হামজার জবাব, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমরা বিগ ড্রিম আছে। আমি কোচ হাভিয়েরের লগে মাতিসি। আর ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস খরতাম ফারমু।’

এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ম্যানচেস্টার থেকে বিমানের সরাসরি ফ্লাইটে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন হামজা। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার হিসেবে পা রাখলেন নিজের শেকড়ের মাটিতে।

বিমানবন্দরে হামজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাত নির্বাহী সদস্য। তারা হলেন শাহীন, হিল্টন, গাউস, ইকবাল, রুপু, সবুজ ও মঞ্জু। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরপরই বাফুফে কর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তাদের সঙ্গে ছিলেন হামজার বাবা মোর্শেদ দেওয়ান চৌধুরী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু’, সিলেটে হামজা

আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরী এখন দেশের ফুটবলের নতুন তারকা। প্রবাসী এ ফুটবলারকে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়। তিনি আসবেন, খেলবেন, জয় করবেন। লাল-সবুজের ভক্তদের একটা বড় অংশের প্রত্যাশা অনেকটা এমনই। হয়তো হামজা নিজেও মুখিয়ে আছেন নতুন পরিচয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর জন্য। সে আশা রেখেই দেশে পা রেখেছেন হামজা।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। যেখানে জবাব দিলেন সিলেটি ভাষায়। শুরুতে ইংরেজিতে জবাব দিলেও পরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা বাংলায় তার থেকে জবাব শুনতে চান। তবে বাংলা না জানা হামজা জবাব ঠিকই দেন সিলেটি ভাষায়।

প্রথমে ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। অসাধারণ লাগছে। আশা করি আমরা দুটি ম্যাচই জিতব। এবং খুব দ্রুতই আমরা উন্নতি করব।

তারপর সাংবাদিকেরা বাংলায় শুনতে চাইলে সিলেটতে হামজার জবাব, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমরা বিগ ড্রিম আছে। আমি কোচ হাভিয়েরের লগে মাতিসি। আর ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস খরতাম ফারমু।’

এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ম্যানচেস্টার থেকে বিমানের সরাসরি ফ্লাইটে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন হামজা। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার হিসেবে পা রাখলেন নিজের শেকড়ের মাটিতে।

বিমানবন্দরে হামজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাত নির্বাহী সদস্য। তারা হলেন শাহীন, হিল্টন, গাউস, ইকবাল, রুপু, সবুজ ও মঞ্জু। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরপরই বাফুফে কর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তাদের সঙ্গে ছিলেন হামজার বাবা মোর্শেদ দেওয়ান চৌধুরী।