শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে বিক্ষোভ ও পথসভা Logo বিলুপ্তির পথে মুন্ডাদের মাতৃভাষা, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষনে মুন্ডা জনগোষ্ঠীর সাথে মত বিনিময় Logo কচুয়ার পালাখাল বাজারে দিন-দুপুরে দুটি হার্ডওয়ার দোকানে দুর্ধুর্ষ চুরি ! Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন সম্মেলন Logo ঘুম থেকে জেগে দেখেন বাড়ির দুয়ারে বিশাল জাহাজ! Logo ইবিতে তারুণ্যের বৃক্ষরোপণ ও ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচী Logo জনসমক্ষে ছবি-ভিডিও নিয়ে গণহত্যা’র প্রমাণ দিতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ট্রাম্প Logo গভীর রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া Logo চিঠি পাঠিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দিল ইরান Logo হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে গেলো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পথ

বঙ্গভবন মোড়ে জনতার অবস্থান, পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করায় ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্টে অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পাশেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আরেকটি পক্ষকে।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। দুই-তিনটা ব্যানার নিয়ে কিছু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাদের বাধা দেয়া হয়নি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি যেন কিছু না ঘটে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত হবে।’

উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’

এরপর থেকেই নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি করে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে বিক্ষোভ ও পথসভা

বঙ্গভবন মোড়ে জনতার অবস্থান, পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করায় ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্টে অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পাশেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আরেকটি পক্ষকে।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। দুই-তিনটা ব্যানার নিয়ে কিছু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাদের বাধা দেয়া হয়নি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি যেন কিছু না ঘটে।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত হবে।’

উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’

এরপর থেকেই নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি করে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।