শিরোনাম :
Logo ‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎ Logo ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’র বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি Logo সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভুয়া তথ্যে সয়লাব, রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমও Logo পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ‘ভিপি নুর’ বিশৃঙ্খলা করেছেন, ডিএনসিসির বিবৃতি Logo পররাষ্ট্র সচিব নিজেই তার অবস্থান থেকে সরে যেতে চান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo হিন্দু-মুসলমান সবার ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সত্তার ‘অভেদসুন্দর’ সাম্য সৃষ্টি করেছিলেন নজরুল- কবি আবদুল হাই শিকদার Logo ‘বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো’ Logo ১৮২৩ কোটি টাকা পাচার রোধে ম্যারিকোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন Logo সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারক  লিপি প্রদান Logo ‘ফ্রি খাওয়া’ নেই, শৃঙ্খলায় রাবির হল ডাইনিং; ক্যাফেটেরিয়ায় ক্ষোভ

অবশেষে জানা গেল ড. ইউনূসের ডাকে মঞ্চে উঠে পড়া সেই ‘অনুপ্রবেশকারীর’ পরিচয়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি তার বিশেষ সহকারী এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলমসহ দুইজনকে স্টেজে ডেকে নেন।

তবে সেই দুজনের মধ্যে একজনকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মূলত, তিনি ছাত্র আন্দোলন কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কেউ না হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

তিনি মূলত কে, ওঠে সেই প্রশ্নও। মাহফুজ আলম তো সরাসরি তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে জানা গেল সেই অনুপ্রবেশকারীর নাম। জানা গেছে, ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন। তিনি হাইড্রোকো প্লাস’র প্রতিষ্ঠাতা।

সিজিআই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে জাহিন বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম সিজিআই ফেলো হিসেবে। ড. ইউনূস ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে যখন ডাকলেন, তখন আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। পাশে ছিলেন দুই বিদেশি ভদ্রলোক। তারা আমাকে বললেন, তুমি বাংলাদেশি তরুণ, তুমিও যাও। তাই আমি কিছু না ভেবেই স্টেজে উঠে গিয়েছি। ’

তিনি ‍আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ইউনূস অ্যান্ড ইয়ুথ ফেলো আমি। আমার প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকো প্লাসের কাজ এগিয়ে নিতে আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। নিউইয়র্কে সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন শুনে খুশি হয়েছিলাম এ কারণে যে, তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হবে। ’

এর আগে, জাহিনকে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মাহফুজ লেখেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ। ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।

ওই ব্যক্তির মঞ্চে ওঠা নিয়ে মাহফুজ লেখেন, স্যার (ড. ইউনূস) আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসেন ওই ব্যক্তি। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।

আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা জানিয়ে মাহফুজ লেখেন, আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থান এর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকবো।

জানা গেছে, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের হাতের বাঁ পাশে থাকা ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা। এছাড়া ম্যানহাটনে একইদিনে হওয়া ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকা আজিজ আহম্মেদকেও ড. ইউনূসের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎

অবশেষে জানা গেল ড. ইউনূসের ডাকে মঞ্চে উঠে পড়া সেই ‘অনুপ্রবেশকারীর’ পরিচয়

আপডেট সময় : ০২:১৮:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি তার বিশেষ সহকারী এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলমসহ দুইজনকে স্টেজে ডেকে নেন।

তবে সেই দুজনের মধ্যে একজনকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মূলত, তিনি ছাত্র আন্দোলন কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কেউ না হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

তিনি মূলত কে, ওঠে সেই প্রশ্নও। মাহফুজ আলম তো সরাসরি তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে জানা গেল সেই অনুপ্রবেশকারীর নাম। জানা গেছে, ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন। তিনি হাইড্রোকো প্লাস’র প্রতিষ্ঠাতা।

সিজিআই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে জাহিন বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম সিজিআই ফেলো হিসেবে। ড. ইউনূস ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে যখন ডাকলেন, তখন আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। পাশে ছিলেন দুই বিদেশি ভদ্রলোক। তারা আমাকে বললেন, তুমি বাংলাদেশি তরুণ, তুমিও যাও। তাই আমি কিছু না ভেবেই স্টেজে উঠে গিয়েছি। ’

তিনি ‍আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ইউনূস অ্যান্ড ইয়ুথ ফেলো আমি। আমার প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকো প্লাসের কাজ এগিয়ে নিতে আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। নিউইয়র্কে সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন শুনে খুশি হয়েছিলাম এ কারণে যে, তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হবে। ’

এর আগে, জাহিনকে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মাহফুজ লেখেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ। ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।

ওই ব্যক্তির মঞ্চে ওঠা নিয়ে মাহফুজ লেখেন, স্যার (ড. ইউনূস) আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসেন ওই ব্যক্তি। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।

আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা জানিয়ে মাহফুজ লেখেন, আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থান এর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকবো।

জানা গেছে, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের হাতের বাঁ পাশে থাকা ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা। এছাড়া ম্যানহাটনে একইদিনে হওয়া ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকা আজিজ আহম্মেদকেও ড. ইউনূসের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়।