শিরোনাম :
Logo ‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎ Logo ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’র বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি Logo সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভুয়া তথ্যে সয়লাব, রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমও Logo পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ‘ভিপি নুর’ বিশৃঙ্খলা করেছেন, ডিএনসিসির বিবৃতি Logo পররাষ্ট্র সচিব নিজেই তার অবস্থান থেকে সরে যেতে চান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo হিন্দু-মুসলমান সবার ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সত্তার ‘অভেদসুন্দর’ সাম্য সৃষ্টি করেছিলেন নজরুল- কবি আবদুল হাই শিকদার Logo ‘বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো’ Logo ১৮২৩ কোটি টাকা পাচার রোধে ম্যারিকোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন Logo সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারক  লিপি প্রদান Logo ‘ফ্রি খাওয়া’ নেই, শৃঙ্খলায় রাবির হল ডাইনিং; ক্যাফেটেরিয়ায় ক্ষোভ

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎

ঝিকরগাছার শংকরপুর মাঠে অবৈধ ভাবে নির্মাণ হয়েছে দু,দুটি ইটের ভাটা

আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
এবিএস রনি, যশোর: বাগআঁচড়া -বাঁকড়া সড়কের শংকরপুর  মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কিং ব্রিকস ও জেবি ব্রিকস নামের দুটি ভাটা। যার পাশেই রয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়, ৪ টি মসজিদ ও ১ টি মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শত শত একর ফসলী জমি। এই ইট ভাটা হওয়ায় এ সকল জমিতে বিগত বছর যে ফসল উৎপাদন হত তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া-উলাকোল গ্রামের মাঠে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াত হোসেন ও কুলবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহমান আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কিং ব্রিকস্ ও জেবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন এ দুটি  ব্রিকস্ এর পাশেই রয়েছে উলাকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাকোল আলিম মাদরাসা, নায়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নায়ড়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে ৪ টি মসজিদ সহ শত শত একর ফসলী জমি। ২০১৩ সালের ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইন অমান্য করে নির্মাণ করেছে এই ইটভাটা দুটি। ফলে এ ইট ভাটা হওয়ায় এক দিকে যেমন শত শত একর জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে অন্য দিকে ভাটার কালো ধোয়ায় ও ধূলাবালিতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। উলাকোল গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ইটভাটার পাশেই আমার ধানী জমি রয়েছে। ভাটা হওয়ার আগে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হতো। এখন ১০/১১ মণ ধান হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাটাটি পাশের এ সমস্ত শত শত একর ধানী জমির ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হলে ইটভাটা দুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাবে ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়ে কোন ফল না হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে কিং ব্রিকস্ এর  সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের ইটভাটা চললে আমার টাও চলবে বলে ফোন রেখে দেয়।