সাবরাং নয়াপাড়া নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৩৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:  সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া গোলাপাড়ার এলাকায় নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মরণ নেশা ইয়াবা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ২ বিজিবি সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই পাচারের মুলহোতা পিতা পুত্র তিন জন। এই ইয়াবা পাচারের সু-কৌশলে ব্যবহার করছে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা। এই জেলেদের নৌকা দিয়ে পিতা পুত্র তিন জন প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফ উপজেলার বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরা হচ্ছে দক্ষিণ নয়াপাড়া গোলার পাড়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার হাকিমের পুত্র মো: তুয়ারেছ প্রকাশ বামইলা মাঝি তার দুই ছেলে ওসমানি গনি, বেলালসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পাচার কাজ সীমান্ত রক্ষী ২ বিজিবি অবস্থান দেখে বিজিবি সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই পিতা পুত্ররা মিয়ানমার থেকে মরণ নেশা ইয়াবা প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এমনি কি সাবরাংয়ের মো: আলম নামে এক যুবককে মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মা রেখে তাদের ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। কোন রকম নাফনদীর পার হতে পারলে গোলাপাড়ার এলাকার তাদের বাড়ি হওয়ায় খুব সহজে ইয়াবা গুলো নিরাপদে চলে যায়। এর পর তারা ইয়াবা গুলো টেকনাফ উপজেলার বড় বড় গডফারদের কাছে বিক্রি করে থাকে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা। এই পিতা পুত্ররের সাথে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা সুযোগ বুঝে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রধান করে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এই পিতা পুত্ররা প্রতিনিয়ত সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে আসছে। এই সযোগে এলাকার যুব সমাজরা ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যতায় তাদের কারনে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামীর প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী পিতা পুত্রদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্ত এলাকায় আমাদের ২ বিজিবি সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কেীশলে তাদের মাদক গুলো অনুপ্রবেশ করছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাচারকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক তাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।

ট্যাগস :

সাবরাং নয়াপাড়া নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে

আপডেট সময় : ১০:০৩:৩৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭

কক্সবাজার প্রতিনিধি:  সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া গোলাপাড়ার এলাকায় নাফনদীর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মরণ নেশা ইয়াবা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ২ বিজিবি সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই পাচারের মুলহোতা পিতা পুত্র তিন জন। এই ইয়াবা পাচারের সু-কৌশলে ব্যবহার করছে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা। এই জেলেদের নৌকা দিয়ে পিতা পুত্র তিন জন প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফ উপজেলার বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরা হচ্ছে দক্ষিণ নয়াপাড়া গোলার পাড়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার হাকিমের পুত্র মো: তুয়ারেছ প্রকাশ বামইলা মাঝি তার দুই ছেলে ওসমানি গনি, বেলালসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পাচার কাজ সীমান্ত রক্ষী ২ বিজিবি অবস্থান দেখে বিজিবি সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই পিতা পুত্ররা মিয়ানমার থেকে মরণ নেশা ইয়াবা প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এমনি কি সাবরাংয়ের মো: আলম নামে এক যুবককে মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মা রেখে তাদের ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। কোন রকম নাফনদীর পার হতে পারলে গোলাপাড়ার এলাকার তাদের বাড়ি হওয়ায় খুব সহজে ইয়াবা গুলো নিরাপদে চলে যায়। এর পর তারা ইয়াবা গুলো টেকনাফ উপজেলার বড় বড় গডফারদের কাছে বিক্রি করে থাকে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা। এই পিতা পুত্ররের সাথে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা সুযোগ বুঝে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রধান করে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এই পিতা পুত্ররা প্রতিনিয়ত সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে আসছে। এই সযোগে এলাকার যুব সমাজরা ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যতায় তাদের কারনে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামীর প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী পিতা পুত্রদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্ত এলাকায় আমাদের ২ বিজিবি সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কেীশলে তাদের মাদক গুলো অনুপ্রবেশ করছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাচারকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক তাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।