শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

আত্মাকে ‘ভূত’ ভাবা অযৌক্তিক!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০১:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

The spirit of a man

নিউজ ডেস্ক:

আমরা আত্মায় বিশ্বাস করি আর সেই সঙ্গে বিশ্বাস করি এই আত্মা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই আছে৷ আমরা এও বিশ্বাস করি যে আমরা রোবোট নই। কিন্তু আমাদের শারীরীক মৃত্যু ঘটলেও আমাদের আত্মা অবিনশ্বর৷ প্রাচীন মিশরের মানুষ এই আত্মাকে বলতেন ‘কা’৷ তাদের মতে আত্মার অবয়ব ধোঁয়া-ধোঁয়া এবং এর অবস্থান হৃদয়ে৷ তারা বিশ্বাস করতেন অবিনশ্বর সেই ‘কা’ মানুষের শারীরীক মৃত্যুর পর বিলীন হয় না বরং এই আত্মা পরজীবনের জন্য অপেক্ষা করে৷

পিথেগোরাস এবং প্লেটো এই দু’জনেই বিশ্বাস করতেন আত্মা অবিনশ্বর৷ একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন স্যর অলিভার লজ, শার্লক হোম্স-এর সৃষ্টিকর্তা আর্থার কোনান ডয়েলও৷ বহু বিজ্ঞানী এবং সাহিত্যিকের মত যে বস্তুর বিনাশ নেই তা কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায় মাত্র আর নির্দিষ্ট সময় পর আবার ফিরে আসে৷ বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস এডিসন অন্য ডাইমেনশনে অবস্থিত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, এমন একটি মেশিন নিয়ে কাজও করেছিলেন৷

পশ্চিমা বিশ্বে এই আত্মার বিষয় নিয়ে কাজ প্রথম করেন নাসা এবং ভ্যাটিকান-এর যথাক্রমে ক্লাউজ হেইনম্যান এবং মাইকেল লেডউইথ৷ এই সমস্ত ঘটনাবলী থেকে আমরা নিশ্চিত যে আমাদের চেনা পৃথিবীর বাইরে আরেকটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে৷

অবশ্য পশ্চিমা দুনিয়া ‘অন্য পৃথিবী’র ওপর করা গবেষণায় আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে৷ স্বনামধন্য পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কিছুদিন আগেই স্টকহোম-এর কনফারেন্সে ব্ল্যাক হোল-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন৷ তার মতে এই ব্ল্যাক হোল অন্য এক মহাবিশ্বের পথের দিক নির্দেশনা দিতে পারে৷

এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল আমরা আধ্যাত্বিক এবং অতিপ্রাকৃতকে বিষয় গুলোকে ভয়ের মোড়কে আর কুসংস্কারের আধারে ঢেকে রেখেছি৷ আত্মাকে যেভাবে যুক্তির আঙ্গিকে পশ্চিমা দুনিয়া দেখে, তার থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে। কারন আমরা এই আত্মাকে আমরা ভূত হিসেবে দেখি অনেকেই। যার কারনেই আমরা তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছি না৷

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

আত্মাকে ‘ভূত’ ভাবা অযৌক্তিক!

আপডেট সময় : ০১:০১:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

আমরা আত্মায় বিশ্বাস করি আর সেই সঙ্গে বিশ্বাস করি এই আত্মা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই আছে৷ আমরা এও বিশ্বাস করি যে আমরা রোবোট নই। কিন্তু আমাদের শারীরীক মৃত্যু ঘটলেও আমাদের আত্মা অবিনশ্বর৷ প্রাচীন মিশরের মানুষ এই আত্মাকে বলতেন ‘কা’৷ তাদের মতে আত্মার অবয়ব ধোঁয়া-ধোঁয়া এবং এর অবস্থান হৃদয়ে৷ তারা বিশ্বাস করতেন অবিনশ্বর সেই ‘কা’ মানুষের শারীরীক মৃত্যুর পর বিলীন হয় না বরং এই আত্মা পরজীবনের জন্য অপেক্ষা করে৷

পিথেগোরাস এবং প্লেটো এই দু’জনেই বিশ্বাস করতেন আত্মা অবিনশ্বর৷ একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন স্যর অলিভার লজ, শার্লক হোম্স-এর সৃষ্টিকর্তা আর্থার কোনান ডয়েলও৷ বহু বিজ্ঞানী এবং সাহিত্যিকের মত যে বস্তুর বিনাশ নেই তা কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায় মাত্র আর নির্দিষ্ট সময় পর আবার ফিরে আসে৷ বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস এডিসন অন্য ডাইমেনশনে অবস্থিত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, এমন একটি মেশিন নিয়ে কাজও করেছিলেন৷

পশ্চিমা বিশ্বে এই আত্মার বিষয় নিয়ে কাজ প্রথম করেন নাসা এবং ভ্যাটিকান-এর যথাক্রমে ক্লাউজ হেইনম্যান এবং মাইকেল লেডউইথ৷ এই সমস্ত ঘটনাবলী থেকে আমরা নিশ্চিত যে আমাদের চেনা পৃথিবীর বাইরে আরেকটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে৷

অবশ্য পশ্চিমা দুনিয়া ‘অন্য পৃথিবী’র ওপর করা গবেষণায় আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে৷ স্বনামধন্য পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কিছুদিন আগেই স্টকহোম-এর কনফারেন্সে ব্ল্যাক হোল-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন৷ তার মতে এই ব্ল্যাক হোল অন্য এক মহাবিশ্বের পথের দিক নির্দেশনা দিতে পারে৷

এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল আমরা আধ্যাত্বিক এবং অতিপ্রাকৃতকে বিষয় গুলোকে ভয়ের মোড়কে আর কুসংস্কারের আধারে ঢেকে রেখেছি৷ আত্মাকে যেভাবে যুক্তির আঙ্গিকে পশ্চিমা দুনিয়া দেখে, তার থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে। কারন আমরা এই আত্মাকে আমরা ভূত হিসেবে দেখি অনেকেই। যার কারনেই আমরা তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছি না৷