চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে বিএনপির এক নেতাকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল ৫টায় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকিয়া চাঁদপুর বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সানু। তিনি বলেন, “গত পরশুদিন আমাকে বিনা উসকানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস করে বিএনপির রাজনীতি করছি। দুঃসময়ে সাতটি মামলার আসামি হয়ে দলকে ধারণ করেছি। অথচ আজ দলের সুসময়ে এসেও নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।”
তিনি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের অনুসারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমার ওপর হামলা মানে শরীফ ভাইয়ের ওপর আঘাত। আমি তার কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”
সমাবেশে আরও অভিযোগ করা হয়, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মদদে ‘হাইব্রিড’ হিসেবে পরিচিত কিছু লোক ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কৌশলগত অনুপ্রবেশকারীরা দলে প্রবেশ করছে। বক্তারা বলেন, “তাদের মদদে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কিছু চিহ্নিত কেডার বিএনপিতে ঢুকে পড়ছে, যা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”
সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, “যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে, সে কীভাবে ওলামা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থাকে?”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন যুবদলের নেতা সোহেল মাহমুদ, আব্দুল হাকিম, ছাত্রদল নেতা আয়মান হাসিব, সাবেক সদর থানা যুবদল সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল নেতা ইমরান মাহমুদ ও লাল্টু মিয়া।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি করম আলী, ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতারা বলেন, “অবিলম্বে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করতে হবে, তা না হলে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ আরও বাড়বে।”