রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের সাতজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ ‘অ্যাসপায়ার লিডার্স প্রোগ্রাম’ থেকে আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন। প্রোগ্রামের বিভিন্ন ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রানা, ফারজানা হৃদি, সাকিনাতুন সুলতানা, সাদিক হাসান ও ইসতিয়াক আহমদ অর্চি এবং তৃতীয় বর্ষের আয়েশা সিদ্দিকা ও সোহরাব হোসেন।
হার্ভার্ড অ্যাসপায়ার লিডার্স প্রোগ্রাম একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ, যা উচ্চশিক্ষা ও নেতৃত্ব বিকাশে আগ্রহী তরুণদের জন্য পরিচালিত হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাসপায়ার ইনস্টিটিউট-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রোগ্রাম বিশ্বজুড়ে তরুণদের জন্য একটি শক্তিশালী ও গতিশীল নেতৃত্বসম্পন্ন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কাজ করছে।
এই অর্জনের ব্যাপারে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রানা বলেন, ‘অ্যাসপায়ার লিডার্স প্রোগ্রাম তরুণদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, যা নেতৃত্ব, টিমওয়ার্ক ও নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়েছে। এটি আমাকে সামাজিক সচেতনতা, আইডিয়া জেনারেশন এবং পারসোনাল ডেভেলপমেন্টে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমি একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের দক্ষতাও অর্জন করেছি।’
অনুভূতি প্রকাশ করে একই বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা হৃদি জানান, ‘এই অনলাইনভিত্তিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি বৈশ্বিক চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি পেশাদার নেতৃত্ব বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি নেতৃত্ব ও সফট স্কিল বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি। এতে করে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং যোগাযোগ দক্ষতাও উন্নত হয়েছে, যা একাডেমিক ও ব্যক্তিজীবনে সহায়ক হবে।’
শিক্ষার্থীদের এই অর্জন প্রসঙ্গে আইআর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সাতজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আট সপ্তাহব্যাপী মর্যাদাপূর্ণ অ্যাসপায়ার লিডার্স প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে—এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এ ধরনের প্রোগ্রাম একজন শিক্ষার্থীর ভেতরের সম্ভাবনা বিকশিত করতে এবং পেশাগত দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়ক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে এবং তাকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের অংশ হতে সুযোগ করে দেয়। আমি বিশ্বাস করি, এই অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।’