শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ঘুমের মধ্যে কথা বলা যেসব কঠিন রোগের লক্ষণ6

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে
ঘুমের মধ্যে কথা বলা (সোমনিলোকুই) একটি সাধারণ ঘটনা, যা বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। এটি সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি অন্য কোনো ঘুমের ব্যাধি বা রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ঘুম সাধারণত দুই ধরনের হয়—REM (Rapid Eye Movement) এবং NREM (Non-Rapid Eye Movement)। ঘুমের মধ্যে কথা বলা সাধারণত NREM-এর গভীর পর্যায়ে ঘটে, যখন মস্তিষ্ক বিশ্রামে থাকলেও শরীর একরকম উত্তেজনার মধ্যে থাকে।

ঘুমের মধ্যে চিৎকার বা কথা বলার কারণ কী

ঘুমের মধ্যে চিৎকার বা কথা বলার প্রধান কারণগুলো হলো—

*চরম মানসিক চাপ বা ট্রমা
*নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ঘাটতি
*জ্বর বা অসুস্থতা (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে)
*অ্যালকোহল বা ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
*স্লিপ অ্যাপনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত ঘুমের ব্যাধি

এ ছাড়া অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও একই সমস্যা থাকে।

এটি কতটা বিপজ্জনক
যখন কেউ ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে বা কথা বলে, তখন সে সাধারণত জাগে না।

চোখ খোলা থাকলেও সে অনেক সময় বুঝতেই পারে না, সে কোথায় আছে বা কী করছে। এই সময় তার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হয়, শ্বাস দ্রুত হয়। এই অবস্থায় তাকে জাগানোর চেষ্টা করলে আরো বেশি বিভ্রান্ত হতে পারে।

স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ
ছোটদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত বয়ঃসন্ধির আগেই কমে যায়।

কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যদি এটা থেকে যায়, তবে সেটি হতে পারে মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ।

ভবিষ্যতে কী কী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা
ঘুমের মধ্যে চিৎকার করার অভ্যাস দীর্ঘদিন থাকলে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, ঘুমের মান খারাপ হয়ে যায়, ঘন ঘন ঘুম ভাঙলে শরীর বিশ্রাম পায় না, ক্লান্তি বাড়ে।

ডিমেনসিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি, ঘুমের ব্যাঘাত মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।

দীর্ঘ সময় ঘুমের সমস্যায় পড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমারস ডিজিজ বা ডিমেনসিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার নির্যাস, মূলত স্মৃতিভ্রংশ হওয়া।
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। রাতের পর রাত চিৎকার বা কথা বলায় অন্য সদস্যদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, মানসিক চাপ বাড়ে।

কিভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ অভ্যাস রপ্ত করা দরকার। নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা।
ঘুমের আগে মানসিক চাপ কমান : ধ্যান, যোগব্যায়াম বা হালকা সঙ্গীত সহায়ক।

রাতে মোবাইল, টিভি কম ব্যবহার করুন : এগুলো মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। অ্যালকোহল ও ঘুমের ওষুধ এড়িয়ে চলুন : অনেক সময় এগুলো সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিন : যদি PTSD বা অতীতের কোনো মানসিক ট্রমা থেকে থাকে, তাহলে মনোবিদ বা সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য নিন।

ঘুমের মধ্যে চিৎকার করাটা নিছক একটা অভ্যাস নয়—এটা কোনও গভীর সমস্যা বা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। যদি এটা বারবার হয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুম মানুষের সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ঘুমের মধ্যে কথা বলা যেসব কঠিন রোগের লক্ষণ6

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
ঘুমের মধ্যে কথা বলা (সোমনিলোকুই) একটি সাধারণ ঘটনা, যা বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। এটি সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি অন্য কোনো ঘুমের ব্যাধি বা রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ঘুম সাধারণত দুই ধরনের হয়—REM (Rapid Eye Movement) এবং NREM (Non-Rapid Eye Movement)। ঘুমের মধ্যে কথা বলা সাধারণত NREM-এর গভীর পর্যায়ে ঘটে, যখন মস্তিষ্ক বিশ্রামে থাকলেও শরীর একরকম উত্তেজনার মধ্যে থাকে।

ঘুমের মধ্যে চিৎকার বা কথা বলার কারণ কী

ঘুমের মধ্যে চিৎকার বা কথা বলার প্রধান কারণগুলো হলো—

*চরম মানসিক চাপ বা ট্রমা
*নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ঘাটতি
*জ্বর বা অসুস্থতা (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে)
*অ্যালকোহল বা ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
*স্লিপ অ্যাপনিয়া বা শ্বাসকষ্টজনিত ঘুমের ব্যাধি

এ ছাড়া অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও একই সমস্যা থাকে।

এটি কতটা বিপজ্জনক
যখন কেউ ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে বা কথা বলে, তখন সে সাধারণত জাগে না।

চোখ খোলা থাকলেও সে অনেক সময় বুঝতেই পারে না, সে কোথায় আছে বা কী করছে। এই সময় তার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হয়, শ্বাস দ্রুত হয়। এই অবস্থায় তাকে জাগানোর চেষ্টা করলে আরো বেশি বিভ্রান্ত হতে পারে।

স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ
ছোটদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত বয়ঃসন্ধির আগেই কমে যায়।

কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যদি এটা থেকে যায়, তবে সেটি হতে পারে মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ।

ভবিষ্যতে কী কী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা
ঘুমের মধ্যে চিৎকার করার অভ্যাস দীর্ঘদিন থাকলে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, ঘুমের মান খারাপ হয়ে যায়, ঘন ঘন ঘুম ভাঙলে শরীর বিশ্রাম পায় না, ক্লান্তি বাড়ে।

ডিমেনসিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি, ঘুমের ব্যাঘাত মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।

দীর্ঘ সময় ঘুমের সমস্যায় পড়লে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমারস ডিজিজ বা ডিমেনসিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার নির্যাস, মূলত স্মৃতিভ্রংশ হওয়া।
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। রাতের পর রাত চিৎকার বা কথা বলায় অন্য সদস্যদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, মানসিক চাপ বাড়ে।

কিভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ অভ্যাস রপ্ত করা দরকার। নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা।
ঘুমের আগে মানসিক চাপ কমান : ধ্যান, যোগব্যায়াম বা হালকা সঙ্গীত সহায়ক।

রাতে মোবাইল, টিভি কম ব্যবহার করুন : এগুলো মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। অ্যালকোহল ও ঘুমের ওষুধ এড়িয়ে চলুন : অনেক সময় এগুলো সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিন : যদি PTSD বা অতীতের কোনো মানসিক ট্রমা থেকে থাকে, তাহলে মনোবিদ বা সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য নিন।

ঘুমের মধ্যে চিৎকার করাটা নিছক একটা অভ্যাস নয়—এটা কোনও গভীর সমস্যা বা অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। যদি এটা বারবার হয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুম মানুষের সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি।