শিরোনাম :
Logo বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত Logo জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে ধানমন্ডি থানা যুবদল Logo চুয়াডাঙ্গায় দ্রুতগতির আলমসাধুর ধাক্কায় প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির Logo বোদা গরুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo বিএনসিসি স্কোয়াড্রনে সিইউও পদে পদোন্নতি পেলেন রাবির নাছিম উদ্দিন Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখা Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান Logo নির্বাচন নিয়ে একটি মহল জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: মির্জা আব্বাস

‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ হামলার তালিকা প্রকাশ করল পাকিস্তান

ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং নিরাপত্তা সূত্র। ওই অভিযানে একাধিক কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে সফল আঘাত হানার কথা জানানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ অবকাঠামো, সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও গোয়েন্দা কেন্দ্র।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, অপারেশনটি মূলত সাইবার এবং উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্রব্যবহারের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। নিচে আঘাতকৃত উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তুলে ধরা হলো:

ভারতের পাওয়ার গ্রিড: সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ কার্যক্ষমতা বিপর্যস্ত করা হয়েছে।

আদমপুর: পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।

রাজৌরি (আইওকে): ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে, যেটি পাকিস্তানে কথিত সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের সাথে যুক্ত ছিল।

‘কেজি টপ’ ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং উরি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপোতে সফল হামলা চালানো হয়েছে।

বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু: আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড়, সিরসা, ভাটিন্ডা, হালওয়ারা এবং আখনুর—এ সকল বিমান ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।

আইওকে-র মানকোটের দেহরাঙ্গিয়ারি: আর্টিলারি বন্দুকের অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

বিয়াস: ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণের একটি গোপন সাইটে আঘাত হানা হয়েছে।

এলওসি সংলগ্ন এলাকায়: রাবতানওয়ালি, জাজিরা পোস্ট কমপ্লেক্স, কাফির মেহরি, শাহপার ৩ এবং গদর টপ-এও হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তানি সামরিক সূত্র দাবি করেছে, এসব হামলা ‘প্রতিরক্ষামূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল’ এবং এগুলোর লক্ষ্য ছিল ভারতের আক্রমণাত্মক সামরিক সক্ষমতা নষ্ট করা।

ভারতের তরফে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে সীমান্ত জুড়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ হামলার তালিকা প্রকাশ করল পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং নিরাপত্তা সূত্র। ওই অভিযানে একাধিক কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে সফল আঘাত হানার কথা জানানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ অবকাঠামো, সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও গোয়েন্দা কেন্দ্র।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, অপারেশনটি মূলত সাইবার এবং উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্রব্যবহারের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। নিচে আঘাতকৃত উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তুলে ধরা হলো:

ভারতের পাওয়ার গ্রিড: সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ কার্যক্ষমতা বিপর্যস্ত করা হয়েছে।

আদমপুর: পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।

রাজৌরি (আইওকে): ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে, যেটি পাকিস্তানে কথিত সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের সাথে যুক্ত ছিল।

‘কেজি টপ’ ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং উরি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপোতে সফল হামলা চালানো হয়েছে।

বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু: আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড়, সিরসা, ভাটিন্ডা, হালওয়ারা এবং আখনুর—এ সকল বিমান ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।

আইওকে-র মানকোটের দেহরাঙ্গিয়ারি: আর্টিলারি বন্দুকের অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

বিয়াস: ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণের একটি গোপন সাইটে আঘাত হানা হয়েছে।

এলওসি সংলগ্ন এলাকায়: রাবতানওয়ালি, জাজিরা পোস্ট কমপ্লেক্স, কাফির মেহরি, শাহপার ৩ এবং গদর টপ-এও হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তানি সামরিক সূত্র দাবি করেছে, এসব হামলা ‘প্রতিরক্ষামূলক ও প্রতিক্রিয়াশীল’ এবং এগুলোর লক্ষ্য ছিল ভারতের আক্রমণাত্মক সামরিক সক্ষমতা নষ্ট করা।

ভারতের তরফে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে সীমান্ত জুড়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।