কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কেন্দ্রে আসন্ন গুচ্ছভু্ক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘বি’ ইউনিটভুক্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ।
শুক্রবার (০২ মে) বেলা ১২:৩০ মিনিটে ভর্তি পরীক্ষা শেষে সামাজিক অনুষদের অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি এই তথ্য জানান। এদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী বিশবিদ্যালয় সহ দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়গুলোতে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুরম্নল হককে নিয়ে মেইন গেটে যান। তিনি সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া, ছাত্র ইউনিয়ন সহ বিভিন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের হেল্প ডেস্ক পরিদশন করেন।
এরপর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হকসহ প্রশাসনের সদস্যরা।
অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তি শৃঙ্খলভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রায় শতভাগ উপস্থিতি দেখা গেছে, অনুপস্থিতি খুবই কম। শিক্ষার্থীরা জানান প্রশ্নপত্রও তাদের কমন পড়েছে। যেহেতু আজকে গতবারের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা কোনো অসংগতি চোখে পড়েনি, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পূর্বের ন্যায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ ফোর্স, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, ট্রাফিক ও পুলিশ। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিল বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস গ্রুপের সদস্যরা এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে মনিটরিংয়ে ছিলেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনেতিক ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের বসার জন্য অভিভাবক কর্নার, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানির বোতল সরবরাহ, মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রমও চলমান ছিল।