চাঁদপুরের কচুয়ায় পরকীয়ার জের ধরে নুরুল হক (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার বিতারা গ্রামের খলিফা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নুরুল হক একই গ্রামের মৃত. সুলতান মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান,কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত জিয়াউল হক এবং ডিবি’র অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে স্থানীয় এলাকাসূত্রে জানা যায়, পরকীয়া সংক্রান্ত একটি ঘটনা নিয়ে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শুক্কর আলীর সঙ্গে নুরুল হকের বিরোধ ছিল। শনিবার রাতে একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও জালাল কৌশলে নুরুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং ওই গ্রামের শুক্কর আলী তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায়। তার ডাক চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী ছুটে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মৃত্যু হয় নুরুল হকের।
নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম,শ্বশুর আমির হোসেন ও ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে বিতারা গ্রামের জাহাঙ্গীর ও জালাল মুঠোফোরে তাকে (নুরুল হক) ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পরিকল্পনা ছিল, যা নুরুল হক বুঝতে পারেনি। শত্রুতার জেরে একই এলাকার শুক্কর আলী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান নুরুল হক।
এ ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহতের বোন জুলেখা বেগম,রাশিদা ও তাছলিমা জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসির কার্যকরের দাবি জানাই।
কচুয়ার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক জানান, সংবাদ পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পরকীয়া জেরে এ হত্যাকান্ড হতে পারে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ছবি: কচুয়ার বিতারা গ্রামে পরকীয়া জেরে হত্যা, স্বজনদের আহাজারি এবং ইনসেটে নিহত নুরুল হক।