শিরোনাম :
Logo শেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ্ কামাল উদ্দীনের পিআরএল গমনে বিদায় সংবর্ধনা Logo বোতল কান্ডে আটক জবি শিক্ষার্থী, ডিবি অফিস ঘেরাও এর হুঁশিয়ারী  Logo নামাজ শেষে জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু Logo ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম Logo আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গন অনশন Logo সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে

প্রধান উপদেষ্টা নিজেই মার্কিন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কহার আরোপ করেছে সে বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে তিনি নিজেই বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অধ্যাপক ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক এবং আমাদের বাণিজ্যের যে ধরন, তার ওপর ভিত্তি করে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শুল্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের কিছু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে দূর করতে চাই।

তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়ে এই অশুল্ক বাণিজ্য বাধা দূর করার চেষ্টা করা হবে। আমরা এখানে সম্ভাবনাও দেখছি। শঙ্কার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেল, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, শিল্পের যন্ত্রাংশ, জ্বালানিসহ আরও কিছু পণ্য আমদানির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ানোর ফলে সে দেশে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরার পর একটা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করি। প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ্ কামাল উদ্দীনের পিআরএল গমনে বিদায় সংবর্ধনা

প্রধান উপদেষ্টা নিজেই মার্কিন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন

আপডেট সময় : ১১:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কহার আরোপ করেছে সে বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে তিনি নিজেই বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অধ্যাপক ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক এবং আমাদের বাণিজ্যের যে ধরন, তার ওপর ভিত্তি করে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শুল্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের কিছু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে দূর করতে চাই।

তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়ে এই অশুল্ক বাণিজ্য বাধা দূর করার চেষ্টা করা হবে। আমরা এখানে সম্ভাবনাও দেখছি। শঙ্কার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেল, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, শিল্পের যন্ত্রাংশ, জ্বালানিসহ আরও কিছু পণ্য আমদানির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ানোর ফলে সে দেশে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরার পর একটা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করি। প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।