শিরোনাম :
Logo নামাজ শেষে জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু Logo ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম Logo আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গন অনশন Logo সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার

সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের

দেশের যেকোন ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলেও দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চুপ কেন সেই প্রশ্ন তুলেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাম্যকে হত্যার প্রতিবাদে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচী ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন ছাত্রদলের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্রদলের কর্মী তৌহিদ বলেন, আপনারা মুখে মুখে বিচার চাচ্ছেন আর ভিতরে বট বাহিনী তৈরি করে প্রমাণ করতে চাইবেন এই হত্যাকান্ড ছাত্রদলের নাটক! ছাত্রদলের এতো ঠেকা পড়েনি যে নিজের কর্মীকে হত্যা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বড় বড় সমন্বয়ক হয়ে গেছে এখন তারা। মনে রাখবেন জুলাই আন্দোলন আপনারাও করেছেন আমরাও করেছি। আমি ত সহ সমন্বয়ক আমি জানি, প্রতিটি ঘটনার পরে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সময় নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করছে। অথচ সাম্য ভাইকে যদি ছাত্রদল কর্মী না ভেবে জুলাই আন্দোলনের একজন সহযোদ্ধা হিসেবে নিতেন তাহলে আপনাদের কি উচিৎ ছিলোনা একটি প্রতিবাদ মিছিল করার? কই কেও ত করলেন না। কেন করলেন না তা আমি জানতে চাই, সেই প্রশ্ন আমার থাকলো।

শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, কিছুদিন পরপরই ডাকা হয় ভাই রাত দশটায় জিয়ামোড়ে আসো, বটতলায় আসো বা মেইন গেটে আসো। সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কাউকে দেখি নাই যে ডাকতে ভাই তোমরা বটতলায় আসো। একবার বলেন যে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে আমরা একটা মিছিল দিতে চাই। আমরা ত আপনাকে বলতেছিনা যে আপনি গোসল করেন। আপনার গোসল কর‍তে হবে না, আপনি একবার শুধু ডাক দেন।

যুগ্ম আহবায়ক রোকন উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমন্বয়ক এখন আমাদের ভুলে যেতে চায়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ে আপনারা যখন হলে বসে থাকতেন, ভাবতেন যে গেটে গেলেই ছাত্রলীগ মারবে তখন আমরা গেটে বসে থাকতাম যে আপনারা কখন আসবেন। সুইট ভাই (ইবি সমন্বয়ক) আপনি মনে হয় দিনগুলো ভুলে গিয়েছেন। এত তাড়াতাড়ি এগুলো ভুলে গেলে হবে না ভাই। তেতো কথা বলার আগে ভাববেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আপনার সাথে প্রকাশ্য ছিল। আপনারা আন্দোলনে ব্রেক দিলেও আমরা রণেভঙ্গ দেইনি। অথচ যেই হাসিনা পালিয়ে গেল তখন আপনি ই হিরো। আপনি ত রুম থেকেই বের হতে পারতেন না। আপনাকে আঙুল দিয়ে কথা বলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি, আমাদের ভুললে চলবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নামাজ শেষে জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু

সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের

আপডেট সময় : ০৯:১৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

দেশের যেকোন ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলেও দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চুপ কেন সেই প্রশ্ন তুলেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাম্যকে হত্যার প্রতিবাদে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচী ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন ছাত্রদলের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্রদলের কর্মী তৌহিদ বলেন, আপনারা মুখে মুখে বিচার চাচ্ছেন আর ভিতরে বট বাহিনী তৈরি করে প্রমাণ করতে চাইবেন এই হত্যাকান্ড ছাত্রদলের নাটক! ছাত্রদলের এতো ঠেকা পড়েনি যে নিজের কর্মীকে হত্যা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বড় বড় সমন্বয়ক হয়ে গেছে এখন তারা। মনে রাখবেন জুলাই আন্দোলন আপনারাও করেছেন আমরাও করেছি। আমি ত সহ সমন্বয়ক আমি জানি, প্রতিটি ঘটনার পরে বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সময় নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করছে। অথচ সাম্য ভাইকে যদি ছাত্রদল কর্মী না ভেবে জুলাই আন্দোলনের একজন সহযোদ্ধা হিসেবে নিতেন তাহলে আপনাদের কি উচিৎ ছিলোনা একটি প্রতিবাদ মিছিল করার? কই কেও ত করলেন না। কেন করলেন না তা আমি জানতে চাই, সেই প্রশ্ন আমার থাকলো।

শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, কিছুদিন পরপরই ডাকা হয় ভাই রাত দশটায় জিয়ামোড়ে আসো, বটতলায় আসো বা মেইন গেটে আসো। সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কাউকে দেখি নাই যে ডাকতে ভাই তোমরা বটতলায় আসো। একবার বলেন যে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে আমরা একটা মিছিল দিতে চাই। আমরা ত আপনাকে বলতেছিনা যে আপনি গোসল করেন। আপনার গোসল কর‍তে হবে না, আপনি একবার শুধু ডাক দেন।

যুগ্ম আহবায়ক রোকন উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমন্বয়ক এখন আমাদের ভুলে যেতে চায়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ে আপনারা যখন হলে বসে থাকতেন, ভাবতেন যে গেটে গেলেই ছাত্রলীগ মারবে তখন আমরা গেটে বসে থাকতাম যে আপনারা কখন আসবেন। সুইট ভাই (ইবি সমন্বয়ক) আপনি মনে হয় দিনগুলো ভুলে গিয়েছেন। এত তাড়াতাড়ি এগুলো ভুলে গেলে হবে না ভাই। তেতো কথা বলার আগে ভাববেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আপনার সাথে প্রকাশ্য ছিল। আপনারা আন্দোলনে ব্রেক দিলেও আমরা রণেভঙ্গ দেইনি। অথচ যেই হাসিনা পালিয়ে গেল তখন আপনি ই হিরো। আপনি ত রুম থেকেই বের হতে পারতেন না। আপনাকে আঙুল দিয়ে কথা বলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি, আমাদের ভুললে চলবে না।