দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) তাজউদ্দীন হলে মেধা ও জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ বরাদ্দ করেন হল প্রশাসন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,দুপুর ১২ টায় হলে সিট বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাননীয় ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা,
এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, হল সুপার কাউন্সিল এর আহবায়ক প্রফেসর ড. আবু সাঈদ মন্ডল, তাজউদ্দীন আহমদ হলের হল সুপার প্রফেসর ড. মো. শোয়াইবুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসানসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ” নীতিমালা অনুযায়ী এভাবে নিয়ম মেনে সিট বরাদ্দ সুন্দর একটি উদ্যোগ। এই নিয়ম অনুযায়ী আস্তে আস্তে সকল হলে সিট বরাদ্দ দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।”
তিনি আরো বলেন, ” হল গুলো তোমাদের জন্যই, এখানে সিনিয়র—জুনিয়র সবাই মিলে মিশে থাকবে। একটা হল কোন নির্দিষ্ট গ্রুপের বা এরিয়ার ছাত্রদের জন্য নয়, এখানে সবাই মিলে সৌহাদ্যর্পূর্ণ পরিবেশে থাকতে হবে। জোর যার মল্লুক তার, এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জুলাই—আগস্টে সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আন্দোলনের সহযোদ্ধা তোমরাই। এই আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাঁরা তোমাদেরই বন্ধু বান্ধবী। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁদের এই স্পি্রটটাকে সব সময় ধারণ করতে হবে এবং মেধা, জ্যৈষ্ঠতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ”
এ ব্যাপারে তাজউদ্দীন আহমদ হলের হল সুপার প্রফেসর ড. শোয়াইবুর রহমান বলেন, ” শুরুতেই আমরা হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আবাসিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আবাসিক করার কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এবং আসন ফাকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে আমরা মেধা ও জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ প্রদানের লক্ষ্যে একটি সার্কুলার প্রকাশ করি। আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাই করে সিট বরাদ্দ প্রদান করা হয়।”
উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলে একই পদ্ধতিতে সিট বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান।