শিরোনাম :
Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ Logo আরও ৩ লাখ টাকা জব্দ রিয়াদের বাড্ডার বাসা থেকে Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৮৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, প্রাণহানি ২ জনের Logo শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিক অনুষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন Logo পলাশবাড়ীতে দশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ Logo সুন্দরবনের মাউন্দে নদী এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১ টি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ Logo শিক্ষার মানোন্নয়ন, ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহ রোধে তুলপাই দারাশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ Logo সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ Logo চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার‌ দশমী ব্রিজপাড়া অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সাইদুর রহমান গ্রেফতার

অনুসন্ধানের নামে সময় ক্ষেপণ চায় না সংস্কার কমিশন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১২:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩২ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাঠামোগত সংস্কার ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৭টি সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন। বিশেষত অর্থপাচার তদন্তের জন্য দুদকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এর প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

মূল সুপারিশসমূহ:
১. দুদককে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া।
২. অর্থপাচার ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন।
৩. স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন।
৪. দুদকের ক্ষমতা অপব্যবহার রোধে আইনি কাঠামোর পরিবর্তন।
৫. দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
৬. সরকারি সেবা খাতের সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন।
৭. রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।
৮. দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে পৃথক শৃঙ্খলা অনুবিভাগ গঠন।
৯. দুদকের বেতন কাঠামো জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় দ্বিগুণ করা।

সুপারিশ অনুযায়ী, দুদকের কমিশনার সংখ্যা তিন থেকে পাঁচে উন্নীত করা, অন্তত একজন নারী কমিশনার রাখা এবং কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ থেকে চার বছর করা প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধাসহ দুদকের কার্যালয় স্থাপন, বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ও ব্যবস্থাপনা সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারের সহযোগিতায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টিও সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে একাধিক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং এই সুপারিশগুলো দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যকর হলে দুদকের সক্ষমতা বাড়বে এবং দুর্নীতি দমনে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ

অনুসন্ধানের নামে সময় ক্ষেপণ চায় না সংস্কার কমিশন

আপডেট সময় : ১০:১২:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাঠামোগত সংস্কার ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৭টি সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন। বিশেষত অর্থপাচার তদন্তের জন্য দুদকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এর প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

মূল সুপারিশসমূহ:
১. দুদককে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া।
২. অর্থপাচার ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন।
৩. স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন।
৪. দুদকের ক্ষমতা অপব্যবহার রোধে আইনি কাঠামোর পরিবর্তন।
৫. দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
৬. সরকারি সেবা খাতের সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন।
৭. রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।
৮. দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে পৃথক শৃঙ্খলা অনুবিভাগ গঠন।
৯. দুদকের বেতন কাঠামো জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় দ্বিগুণ করা।

সুপারিশ অনুযায়ী, দুদকের কমিশনার সংখ্যা তিন থেকে পাঁচে উন্নীত করা, অন্তত একজন নারী কমিশনার রাখা এবং কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ থেকে চার বছর করা প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধাসহ দুদকের কার্যালয় স্থাপন, বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ও ব্যবস্থাপনা সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারের সহযোগিতায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টিও সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে একাধিক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং এই সুপারিশগুলো দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যকর হলে দুদকের সক্ষমতা বাড়বে এবং দুর্নীতি দমনে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।