শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গত বছর ১৪২ জনের মৃত্যুর পর বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছিল সরকার। এবারও বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বজ্রঝড় হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদদের মতে, মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে কালবৈশাখী, বজ্রপাত আর বজ্রঝড়ের মৌসুম। এর মধ্যে মার্চে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে।

এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৩-৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী ও বজ্রঝড় হতে পারে।

তাৎক্ষণিক পূর্বাভাস (নাউ কাস্টিং), ব্যাপক প্রচারণা আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এ ধরনের দুর্যোগ থেকে প্রাণহানির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বজ্রপাতের সময় বাসা-বাড়ির মধ্যে থাকলে এর প্রভাব থেকে কিছুটা বাঁচা যায়। তবে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি সামনে পড়লে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন তার কয়েকটি উপায় জেনে নিন।

১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালার কাছাকাছি থাকবেন না। কারণ ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই গাছ থেকে কমপক্ষে ৪ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।

২. ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা, উঁচু জায়গায় কিংবা টিনশেডের বাড়িতে না থাকাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া যায়।

৩. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা কোনো বাড়ির ছাউনি কিংবা বারান্দায় অবস্থায় নেওয়া।

৪. বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন।

৫. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৬. নদীতে নৌকায় অবস্থান করলেও পানি থেকে সরে আসতে হবে এবং নৌকার ছাউনিতে ঢুকে পড়তে হবে।

৭ বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার আছে এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় !

আপডেট সময় : ১২:৩০:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গত বছর ১৪২ জনের মৃত্যুর পর বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছিল সরকার। এবারও বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বজ্রঝড় হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদদের মতে, মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে কালবৈশাখী, বজ্রপাত আর বজ্রঝড়ের মৌসুম। এর মধ্যে মার্চে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে।

এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৩-৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী ও বজ্রঝড় হতে পারে।

তাৎক্ষণিক পূর্বাভাস (নাউ কাস্টিং), ব্যাপক প্রচারণা আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এ ধরনের দুর্যোগ থেকে প্রাণহানির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বজ্রপাতের সময় বাসা-বাড়ির মধ্যে থাকলে এর প্রভাব থেকে কিছুটা বাঁচা যায়। তবে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি সামনে পড়লে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন তার কয়েকটি উপায় জেনে নিন।

১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালার কাছাকাছি থাকবেন না। কারণ ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই গাছ থেকে কমপক্ষে ৪ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।

২. ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা, উঁচু জায়গায় কিংবা টিনশেডের বাড়িতে না থাকাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া যায়।

৩. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা কোনো বাড়ির ছাউনি কিংবা বারান্দায় অবস্থায় নেওয়া।

৪. বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন।

৫. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৬. নদীতে নৌকায় অবস্থান করলেও পানি থেকে সরে আসতে হবে এবং নৌকার ছাউনিতে ঢুকে পড়তে হবে।

৭ বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার আছে এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।