বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

সম্পদের হিসাব জমা না দিলে যেসব শাস্তি হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকরিজীবীদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি জমা দিতে হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

দেশে বর্তমান সাড়ে ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক।

যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে

ক. ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে।

খ. গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে পারবেন।

জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন

ক) মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

খ) সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

সরকারি চাকরীজীবীর সংখ্যা 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৭ কোটির বেশি মানুষ চাকরি এবং কর্মমুখী নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৫ লাখ।

আর ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদকে জানান, ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস ২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন।’

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রযোজ্যতা: এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গোপনীয়তা সংরক্ষণ: ক. আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়।

খ. সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।

পরিবর্তন ও পরিমার্জন: প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।

সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে যে শাস্তি

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(৫) (গ) উপবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর জন্য ওই বিধিমালার ৪(২) ও ৪ (৩) উপবিধিতে উল্লিখিত যে কোনো লঘুদণ্ড বা গুরুদণ্ড আরোপ করার বিধান রয়েছে।

৪ (২) এ উল্লিখিত লঘুদণ্ড

ক. তিরস্কার;

খ. চাকরি বা পদ সম্পর্কিত বিধি বা আদেশ অনুযায়ী পদোন্নতি বা আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির অযোগ্যতার ক্ষেত্র ব্যতীত, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা;

গ. কর্তব্যে অবহেলা বা সরকারি আদেশ অমান্য করার কারণে সংঘটিত সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা তার অংশবিশেষ, বেতন বা আনুতোষিক হতে আদায় করা; অথবা

ঘ. বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ।

৪(৩) এ উল্লিখিত গুরুদণ্ডসমূহ

ক. নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ;

খ. বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;

গ. চাকরি হইতে অপসারণ;

ঘ. চাকরি হইতে বরখাস্ত করা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

সম্পদের হিসাব জমা না দিলে যেসব শাস্তি হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের

আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিজীবীদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি জমা দিতে হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

দেশে বর্তমান সাড়ে ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক।

যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে

ক. ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে।

খ. গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে পারবেন।

জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন

ক) মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

খ) সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

সরকারি চাকরীজীবীর সংখ্যা 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৭ কোটির বেশি মানুষ চাকরি এবং কর্মমুখী নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৫ লাখ।

আর ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদকে জানান, ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস ২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন।’

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রযোজ্যতা: এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গোপনীয়তা সংরক্ষণ: ক. আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়।

খ. সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।

পরিবর্তন ও পরিমার্জন: প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।

সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে যে শাস্তি

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(৫) (গ) উপবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর জন্য ওই বিধিমালার ৪(২) ও ৪ (৩) উপবিধিতে উল্লিখিত যে কোনো লঘুদণ্ড বা গুরুদণ্ড আরোপ করার বিধান রয়েছে।

৪ (২) এ উল্লিখিত লঘুদণ্ড

ক. তিরস্কার;

খ. চাকরি বা পদ সম্পর্কিত বিধি বা আদেশ অনুযায়ী পদোন্নতি বা আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির অযোগ্যতার ক্ষেত্র ব্যতীত, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা;

গ. কর্তব্যে অবহেলা বা সরকারি আদেশ অমান্য করার কারণে সংঘটিত সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা তার অংশবিশেষ, বেতন বা আনুতোষিক হতে আদায় করা; অথবা

ঘ. বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ।

৪(৩) এ উল্লিখিত গুরুদণ্ডসমূহ

ক. নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ;

খ. বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;

গ. চাকরি হইতে অপসারণ;

ঘ. চাকরি হইতে বরখাস্ত করা যাবে।