শিরোনাম :
Logo খুবি উপাচার্যের সাথে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সৌজন্যে সাক্ষাৎ  Logo মাদকাসক্তরা বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত’ – জাবি উপাচার্য Logo অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাতক্ষীরায় পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর Logo ছাত্রী হলে খাবার ও পানি সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে খুবি শিক্ষার্থীরা Logo সিরাজগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের আইডি কার্ড বহাল ও কমিশন বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই এলাকার সংঘর্ষে আটক ৭ Logo ২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান Logo বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা! Logo চাঁদপুরে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা

চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে মৌসুম শুরু বসুন্ধরা কিংসের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

আজকের সমীকরণটা এমন ছিলো, যে দল জিতবে তারাই মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিতবে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে পিছিয়ে থেকেও বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপে ৩-১ ব্যবধানে মোহামেডানকে হারিয়েছে বসুন্ধরা।

বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচের এক টুর্নামেন্ট হয়েছে। টুর্নামেন্টের নামটি এসেছে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন থেকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের উদ্দেশেই চ্যালেঞ্জ কাপের নাম ‘বাংলাদেশ ২.০’ রাখা হয়েছে।

শহীদদের স্মরণে গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকেও সাজানো হয়েছিলো আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধদের গ্রাফিতিতে। সঙ্গে আন্দোলনের স্লোগানগুলোও জায়গা পেয়েছে ওপরের গ্যালারির ওয়ালে।

বসুন্ধরা অ্যারেনায় অবশ্য শুরুটা মোহামেডানই করেছিলো। ৭ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে যায় তারা। ইমানুয়েল সানডের দারুণ ক্রসটিতে শুধু মাথাটাই লাগিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে।

যদিও বিরতির পর দারুণ এক প্রত্যাবর্তন করে বসুন্ধরা। সমতায় ফিরতে ৫৮ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে যে শটটি তিনি নিলেন তা ডান পোস্টের বাইরে মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্যালারি থেকে ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারেন দর্শকেরা। গোলাপি রংয়ের ঝাঁজের কারণে কিছুটা সময় ম্যাচ বন্ধ থাকে। ইউরোপীয় ফুটবলে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায় না। বিরতির এই সময়টায় যেন কোচ ভ্যালেরি তিতার সঙ্গে নিজেদের কৌশলটা আরেকটু ভালোভাবে সেরে নেয় বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা।

যার ফলও পায় ৭৩ মিনিটে। মিগেল দামাশেনোর কর্নার থেকে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান তপু বর্মণ। একদম ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে কর্নার কিকের বলে শুধু পা লাগিয়ে দেন এই ডিফেন্ডার। সমতায় ফেরার পর উজ্জীবিত বসুন্ধরা এগিয়েও যায় ৮১ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে বসুন্ধরার অধিনায়ক দামাশেনোর বাড়ানো ক্রসে অনেকটা উড়ে এসে ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ফাহিম। জয়সূচক গোলের পর তার উদযাপনও ছিল দেখার মতো। পাগলাটে এক দৌড়ে কোচ তিতার কাছে চলে যান তিনি।

এরপর ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত ১৮ মিনিট সময়ে সময়ে মোহামেডানের কামব্যাকের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেন দেন দামাশেনো। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন ম্যাচে দুই অ্যাসিস্ট করা ব্রাজিলিয়ান এই প্লে মেকার। এরপর আর কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি মোহামেডান। আর শেষ বাঁশি বাজার সাথে উল্লাসে ফেটে পড়েন গ্যালারিভর্তি বসুন্ধরার ভক্ত-সমর্থকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি উপাচার্যের সাথে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সৌজন্যে সাক্ষাৎ 

চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে মৌসুম শুরু বসুন্ধরা কিংসের

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আজকের সমীকরণটা এমন ছিলো, যে দল জিতবে তারাই মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিতবে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে পিছিয়ে থেকেও বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপে ৩-১ ব্যবধানে মোহামেডানকে হারিয়েছে বসুন্ধরা।

বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচের এক টুর্নামেন্ট হয়েছে। টুর্নামেন্টের নামটি এসেছে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন থেকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের উদ্দেশেই চ্যালেঞ্জ কাপের নাম ‘বাংলাদেশ ২.০’ রাখা হয়েছে।

শহীদদের স্মরণে গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকেও সাজানো হয়েছিলো আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধদের গ্রাফিতিতে। সঙ্গে আন্দোলনের স্লোগানগুলোও জায়গা পেয়েছে ওপরের গ্যালারির ওয়ালে।

বসুন্ধরা অ্যারেনায় অবশ্য শুরুটা মোহামেডানই করেছিলো। ৭ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে যায় তারা। ইমানুয়েল সানডের দারুণ ক্রসটিতে শুধু মাথাটাই লাগিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে।

যদিও বিরতির পর দারুণ এক প্রত্যাবর্তন করে বসুন্ধরা। সমতায় ফিরতে ৫৮ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে যে শটটি তিনি নিলেন তা ডান পোস্টের বাইরে মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্যালারি থেকে ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারেন দর্শকেরা। গোলাপি রংয়ের ঝাঁজের কারণে কিছুটা সময় ম্যাচ বন্ধ থাকে। ইউরোপীয় ফুটবলে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায় না। বিরতির এই সময়টায় যেন কোচ ভ্যালেরি তিতার সঙ্গে নিজেদের কৌশলটা আরেকটু ভালোভাবে সেরে নেয় বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা।

যার ফলও পায় ৭৩ মিনিটে। মিগেল দামাশেনোর কর্নার থেকে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান তপু বর্মণ। একদম ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে কর্নার কিকের বলে শুধু পা লাগিয়ে দেন এই ডিফেন্ডার। সমতায় ফেরার পর উজ্জীবিত বসুন্ধরা এগিয়েও যায় ৮১ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে বসুন্ধরার অধিনায়ক দামাশেনোর বাড়ানো ক্রসে অনেকটা উড়ে এসে ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ফাহিম। জয়সূচক গোলের পর তার উদযাপনও ছিল দেখার মতো। পাগলাটে এক দৌড়ে কোচ তিতার কাছে চলে যান তিনি।

এরপর ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত ১৮ মিনিট সময়ে সময়ে মোহামেডানের কামব্যাকের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেন দেন দামাশেনো। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন ম্যাচে দুই অ্যাসিস্ট করা ব্রাজিলিয়ান এই প্লে মেকার। এরপর আর কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি মোহামেডান। আর শেষ বাঁশি বাজার সাথে উল্লাসে ফেটে পড়েন গ্যালারিভর্তি বসুন্ধরার ভক্ত-সমর্থকরা।