শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ Logo সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস Logo ইবি উপাচার্যের বক্তৃতায় মুখরিত মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সেমিনার Logo শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ Logo বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে এআই: ডাব্লিউটিও Logo আফগানিস্তানকে টপকে নবম স্থানে বাংলাদেশ Logo বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে Logo ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা: রোহিঙ্গা, সংস্কার ও গণতন্ত্র ইস্যু প্রাধান্য পাবে এজেন্ডায় Logo কয়রায় মিথ্যা মানববন্ধনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সমুদ্র দূষণের বিরুদ্ধে হুইল চেয়ারে জাপানি নারীর ব্যতিক্রমী লড়াই!

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্র দূষণ রোধে আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা নানাভাবে কাজ করছে। তবে এক জাপানি নারীর এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো। আরিমোটো নামের ওই জাপানি নারীর বাড়ি রাজধানী টোকিওর দক্ষিণে সমুদ্র সৈকতের কাছে। তিনি সাবধানে বালু থেকে ছোট ছোট প্লাস্টিকের টুকরো খুঁজে বের করেন। এগুলো তার স্যালনের কৃত্রিম নখের সাজ তৈরিতে ব্যবহার করেন। এই ধারণাটি তার মাথায় আসে সমুদ্রতীর পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময়।

৪২ বছর বয়সী আরিমোটো বলেন, ‘সমুদ্রে এত প্লাস্টিক বর্জ্য দেখে আমি পরিবেশগত সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সচেতন হই।’

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়নের (আইইউসিএন) মতে, প্রতি বছর আনুমানিক ২০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলা হয়। আগামী ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক চুক্তি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে, যা বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করবে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্লাস্টিক উৎপাদনকারী যুক্তরাষ্ট্র আগস্ট মাসে ইঙ্গিত দেয় যে, তারা বৈশ্বিক চুক্তি সমর্থন করবে। পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা গ্রিনপিস একে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

২০১৮ সালে স্পাইনাল সমস্যার কারণে সামাজিক কর্মীর চাকরি ছাড়ার পর আরিমোটো নিজের বাড়িতে নেইল স্যালন চালু করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি নেইল আর্ট তৈরিতে ‘উমিগোমি’ ব্যবহার শুরু করেন। প্লাস্টিক সংগ্রহে তিনি কাস্টম হুইলচেয়ারের সাহায্যে প্রতিমাসে সমুদ্রসৈকতে যান। প্লাস্টিককে শিল্পকর্মে রূপান্তর করতে, তিনি প্রথমে প্লাস্টিক ধুয়ে রঙ অনুযায়ী ভাগ করেন। পরে প্লাস্টিক ছোট ছোট টুকরোতে কেটে ধাতব ছাঁচে গলিয়ে একটি রঙিন ডিস্ক তৈরি করেন, যা কৃত্রিম নখে লাগানো হয়। একটি সেটের দাম শুরু হয় ১২ হাজার ৭৬০ ইয়েন থেকে।

৫৭ বছর বয়সী গ্রাহক কিয়োকো কুরোকাওয়া বলেন, ‘আমি জানতাম পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান দিয়ে টয়লেট পেপার বা অন্যান্য দৈনন্দিন পণ্য তৈরি হয়, কিন্তু নখেও যে এমন কিছু হতে পারে, তা জানা ছিল না। এটা আমাকে চমক দিয়েছে।’

আরিমোটো স্বীকার করেন যে, তাঁর নেইল আর্ট প্লাস্টিক দূষণের মহাসাগরে একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। তবে তিনি মনে করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, মানুষ এই নেইল আর্টের মাধ্যমে পরিবেশগত সমস্যাগুলো সম্পর্কে আরও সচেতন হবে এবং একই সঙ্গে ফ্যাশন উপভোগ করবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০

সমুদ্র দূষণের বিরুদ্ধে হুইল চেয়ারে জাপানি নারীর ব্যতিক্রমী লড়াই!

আপডেট সময় : ০৮:৫২:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সমুদ্র দূষণ রোধে আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা নানাভাবে কাজ করছে। তবে এক জাপানি নারীর এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো। আরিমোটো নামের ওই জাপানি নারীর বাড়ি রাজধানী টোকিওর দক্ষিণে সমুদ্র সৈকতের কাছে। তিনি সাবধানে বালু থেকে ছোট ছোট প্লাস্টিকের টুকরো খুঁজে বের করেন। এগুলো তার স্যালনের কৃত্রিম নখের সাজ তৈরিতে ব্যবহার করেন। এই ধারণাটি তার মাথায় আসে সমুদ্রতীর পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময়।

৪২ বছর বয়সী আরিমোটো বলেন, ‘সমুদ্রে এত প্লাস্টিক বর্জ্য দেখে আমি পরিবেশগত সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সচেতন হই।’

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়নের (আইইউসিএন) মতে, প্রতি বছর আনুমানিক ২০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলা হয়। আগামী ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক চুক্তি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে, যা বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করবে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্লাস্টিক উৎপাদনকারী যুক্তরাষ্ট্র আগস্ট মাসে ইঙ্গিত দেয় যে, তারা বৈশ্বিক চুক্তি সমর্থন করবে। পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা গ্রিনপিস একে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

২০১৮ সালে স্পাইনাল সমস্যার কারণে সামাজিক কর্মীর চাকরি ছাড়ার পর আরিমোটো নিজের বাড়িতে নেইল স্যালন চালু করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি নেইল আর্ট তৈরিতে ‘উমিগোমি’ ব্যবহার শুরু করেন। প্লাস্টিক সংগ্রহে তিনি কাস্টম হুইলচেয়ারের সাহায্যে প্রতিমাসে সমুদ্রসৈকতে যান। প্লাস্টিককে শিল্পকর্মে রূপান্তর করতে, তিনি প্রথমে প্লাস্টিক ধুয়ে রঙ অনুযায়ী ভাগ করেন। পরে প্লাস্টিক ছোট ছোট টুকরোতে কেটে ধাতব ছাঁচে গলিয়ে একটি রঙিন ডিস্ক তৈরি করেন, যা কৃত্রিম নখে লাগানো হয়। একটি সেটের দাম শুরু হয় ১২ হাজার ৭৬০ ইয়েন থেকে।

৫৭ বছর বয়সী গ্রাহক কিয়োকো কুরোকাওয়া বলেন, ‘আমি জানতাম পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান দিয়ে টয়লেট পেপার বা অন্যান্য দৈনন্দিন পণ্য তৈরি হয়, কিন্তু নখেও যে এমন কিছু হতে পারে, তা জানা ছিল না। এটা আমাকে চমক দিয়েছে।’

আরিমোটো স্বীকার করেন যে, তাঁর নেইল আর্ট প্লাস্টিক দূষণের মহাসাগরে একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। তবে তিনি মনে করেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, মানুষ এই নেইল আর্টের মাধ্যমে পরিবেশগত সমস্যাগুলো সম্পর্কে আরও সচেতন হবে এবং একই সঙ্গে ফ্যাশন উপভোগ করবে।’