যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছিল। বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনার সিবিএসকে মার্কিন একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র (এটিএসিএমএস নামে পরিচিত) ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে আসছিল, যাতে করে কিয়েভ নিজ দেশের সীমানার বাইরে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে।
রোববার এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন ‘এসব বিষয় ঘোষণা করা হয়নি, ক্ষেপণাস্ত্রই তাদের জন্য কথা বলবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর দু’মাসের মতো ক্ষমতায় আছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি অবশ্য রোববার সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে আসা খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ক্রেমলিনের সিনিয়র রাজনীতিকরা একে মারাত্মক উসকানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কিয়েভ গত অগাস্টে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বিস্ময়কর আক্রমণ চালায়। সেখানে ইউক্রেনের বাহিনী অবস্থান করছে।
এখন ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার ভূখণ্ডের ওই ছোট জায়গাটুকু ধরে রাখার জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন জানালো। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যে কোনো আলোচনায় এটি দরকষাকষির শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার রাশিয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে বাইডেনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে।’
মি. কুজান বলছেন, ‘রাশিয়া ও কোরিয়ার সেনারা কুরস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে যে অভিযানের পরিকল্পনা করেছে তার আগেই রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আসলো। অভিযানটি কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’