ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত চুয়াডাঙ্গার প্রথম শহীদ প্রকৌশলী শাহরিয়ার শুভর পরিবারকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকার নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান নিহত শুভর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার হাতে এই অর্থ সহায়তা তুলে দেন।
এসময় নিহত শুভর বাবা আবু সাঈদ, মা চম্পা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য, প্রতিবেশী এবং ৬ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমেদসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদের কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় ছেলের জন্য দুধ কিনতে বের হয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন প্রকৌশলী শাহরিয়ার শুভ। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় শাহরিয়ারের মরদেহ। পরদিন বুধবার সকালে তাঁকে দাফন করা হয়। হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদে বন্দুকের গুলিতে আহত, গুলির আঘাতে মাথার খুলি চুরমার ও মস্তিষ্কে ক্ষতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। নিহত শাহরিয়ার শুভর ৮ মাস বয়সী মুহিন নামের একমাত্র ছেলে সন্তান আছে। কৃষক পরিবারের সন্তান প্রকৌশলী শাহরিয়ার শুভ যশোরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা শেষে ঢাকায় একটি লিফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন।